দোনেৎস্ক অঞ্চলের আরো দুটি গ্রাম দখলে নেয়ার দাবি রাশিয়ার

অভিযানে রাশিয়ার সেনাবাহিনী
অভিযানে রাশিয়ার সেনাবাহিনী | ছবি: সংগৃহীত
0

নতুন করে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের আরো দুটি গ্রাম দখলে নেয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। একইদিন রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনের ৩৩টি ড্রোন ভূপাতিতের দাবি মস্কোর। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতিতে বিলম্বের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকেই দুষছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে, মস্কো জানিয়েছে আগামী ২ জুন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে চান রাশিয়ার প্রতিনিধিদল।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই লাগাতার ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা। মঙ্গলবারও ইউক্রেন ভূখণ্ডের দোনেৎস্ক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দুইটি গ্রাম দখলে নেয়ার দাবি করে রাশিয়া। এ ছাড়া ইউক্রেনে দিনভর ড্রোন হামলার দাবি করে তারা। এছাড়াও রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনের ৩৩টি ড্রোন ভূপাতিতের দাবি মস্কোর।

একইদিন ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে ড্রোন হামলার দাবি করে রাশিয়া। এতে আগুন ধরে যায় সেখানকার বেশ কয়েকটি ভবনে। দমকল বাহিনীর কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আসে।

রাশিয়ার এমন বেপরোয়া হামলার মধ্যেই মার্কিন ধর্মপ্রচারক ও নেতা ফ্রাঙ্কলিন গ্রাহামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেসময় যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়ার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকেই দায়ী করেন তিনি। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রকে শান্তিচুক্তি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়। এটাই রাশিয়ার স্বপ্ন। যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে শান্তিচুক্তির জন্য তাই যুক্তরাষ্ট্র যেন সরে না যায়।’

যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মপ্রচারক নেতা ফ্রাঙ্কলিন গ্রাহাম বলেন, ‘ইউক্রেনকে সমর্থন জানাতেই এখানে এসেছি। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে ২ শ’ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছি এবং ইউক্রেনবাসীর পক্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।’

এমন পরিস্থিতিতে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি চুক্তিতে রাজি না হলে রাশিয়ার উপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘দুই সপ্তাহের মধ্যে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো আমরা। পুতিন আমাদের কোন বিপদে ফেলছে কিনা সেটিও ভাবার বিষয়। যদি তার এ ধরনের পরিকল্পনা থাকে, তবে আমরাও এর জবাব অন্যভাবে দেবো।’

অবশ্য মস্কোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসছে জুনে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসতে চান রুশ প্রতিনিধিদল।

সেজু