নোয়াখালীতে নারীকে গলা কেটে হত্যা

নোয়াখালীতে ৬ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা
নোয়াখালীতে ৬ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা | ছবি: সংগৃহীত
0

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে ঘরে ঢুকে আমেনা বেগম (৫০) নামে নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনো হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। নিহত আমেনা বেগম একই গ্রামের এমরান উদ্দিনের স্ত্রী।

গতকাল (বুধবার, ২৮ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের শতফুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ (বৃহস্পতিবার, ২৯ মে) দুপুরের দিকে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও স্থানীয় বাসিন্দা আমিরুল মোমিন বাবলু জানান, আমেনা বেগমের স্বামী স্থানীয় বাজারে শুঁটকির ব্যবসা করেন। তার ৪ মেয়ে, ২ ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলেরা জেলা শহর মাইজদীতে থেকে লেখাপড়া করছে। একা বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুজন বসবাস করেন। বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে এমরান বাড়ি ফিরে দেখেন বসত ঘরের দরজা খোলা, ঘরে স্ত্রী নেই। ঘরের মাঝের কক্ষে রক্ত পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি স্থানীয় কয়েকজনকে মুঠোফোনে জানালে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে দেখা যায়, আমেনার রক্তাক্ত মরদেহ পুকুরে ভাসছে। ধারণা করা হচ্ছে, কে বা কারা তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বসতঘরের পাশে পুকুরে ফেলে দেয়।

নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘গলা কেটে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর মরদেহ পুকুরে ফেলা হয়। পরে পুকুর থেকে রাত সোয়া ২টার দিকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ‘এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইএ