পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পর প্রেসিডেন্ট, ইউক্রেন প্রসঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার কণ্ঠে স্পষ্ট ব্যর্থতা ও ক্ষোভের সুর। মার্কো রুবিওর পর এবার ইউক্রেন যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারীর অবস্থান থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেবার হুমকি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার ওভাল অফিসে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, যুদ্ধবিরতির আলোচনা কঠিন করে তুলছে কিয়েভ ও মস্কো। এমনটা চলতে থাকলে মধ্যস্থতা করবে না ওয়াশিংটন। প্রেসিডেন্টের দাবি, দিন কয়েকের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নেই। যদিও শীঘ্রই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন চান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'যদি কোনো কারণে যেকোনো এক পক্ষ যুদ্ধবিরতিকে কঠিন করে তোলার চেষ্টা করে, আমি বলবো তোমরা বোকা আর ভয়ঙ্কর মানুষ। এমন চলতে থাকলে আমরা সরে দাঁড়াবো। মার্কো রুবিও মধ্যস্থতা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলে সঠিক কাজ করেছেন।'
মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুমকিতে ক্ষুব্ধ ইউক্রেনের জনগণ। তাদের দাবি, ১৯৯৪ সালের বুদাপেস্ট চুক্তি ভঙ্গ করায় কিয়েভকে ফিরিয়ে দেয়া হোক তাদের পরমাণু অস্ত্র।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, 'আমাদের কোনো সাহায্য লাগবে না। আমাদের পরমাণু অস্ত্র ফেরত দিন। বাকিটা আমরা দেখে নিবো।'
অন্য একজন বলেন, 'কীসের যুদ্ধবিরতির কথা বলছেন? আগে রাশিয়াকে দুর্বল করতে হবে। না হলে কোনো যুদ্ধবিরতি কাজে আসবে না।'
ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালানোর বিষয়ে যেমন দ্বিধাবিভক্ত ছিল ট্রাম্প প্রশাসন, ইউক্রেন ইস্যুতেও লক্ষ্য করা গেছে একই রকম বিভক্তি। ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আশাবাদী তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, 'আমাদের কাছে কিছু চমকপ্রদ তথ্য রয়েছে। ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি আলাদাভাবে অবহিত করবো। যুদ্ধবিরতির আলোচনার বিষয়ে পূর্বাভাস দিবো না। তবে যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।'
স্বল্প মাত্রায় হলেও যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অগ্রগতির কথা জানিয়েছে মস্কো। ক্রেমলিন মুখপাত্রের দাবি, যুদ্ধ বন্ধে কূটনীতি অব্যাহত রাখবে রাশিয়া।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা কিছুটা জটিল হয়ে পড়ছে। কারণ ইউক্রেনে শান্তি স্থাপন সহজ কোনো বিষয় নয়। সংঘাত নিরসনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাশিয়া। নিজেদের স্বার্থকে সুরক্ষিত করে আমরা আলোচনার জন্য উন্মুক্ত আছি, যা অব্যাহত থাকবে।'
এদিকে রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে চীন। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।




