শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন ঢাবি চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী এবং নানা বয়সী মানুষ। শুধু ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও মানুষ এসেছেন এই আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিতে।
আনন্দ শোভাযাত্রা চারুকলা থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি, শহীদ মিনার, বাংলা একাডেমি হয়ে চারুকলায় এসে শেষ হবে।
শোভাযাত্রা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছেন।
এ বছরের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য হচ্ছে 'নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান'। শোভাযাত্রায় প্রাধান্য পেয়েছে জুলাই অভ্যুত্থান।
এবারের শোভাযাত্রায় আছে ছোট-বড়-মাঝারি মোট ২১টি মোটিফ। এর মধ্যে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, কাঠের বাঘ, ইলিশ, শান্তি পায়রা ও পালকির থাকছে বড় মোটিফ।
জুলাই বিপ্লবের অনুপ্রেরণায় তৈরি প্রতীকী মুগ্ধের পানির বোতল। ৩৬ জুলাই লেখা টাইপোগ্রাফি এবং ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি আছে ৮০টি। এছাড়াও ফিলিস্তিনের পতাকার সাথে মিল রেখে রাখা হয়েছে তরমুজ।
এছাড়া গ্রামীণ লোকজ চিত্র ও মোটিফ দেখা যায় শোভাযাত্রায়।
আজ আনন্দ শোভাযাত্রা থাকায় সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেট্রোরেলের শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
এবারের বর্ষবরণ শোভাযাত্রায় বাঙালিসহ মোট ২৮টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নিয়েছে, যা শোভাযাত্রায় বৈচিত্র্য ও ঐক্যের বার্তা বহন করবে।