টাঙ্গাইলে ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় করায় পুরস্কার পেল ৫০ শিশু-কিশোর

টাঙ্গাইলে টানা ৪০ দিন নামাজ আদায় করায় শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হচ্ছে। ছবি: এখন টিভি
টাঙ্গাইলে টানা ৪০ দিন নামাজ আদায় করায় শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হচ্ছে। ছবি: এখন টিভি | এখন টিভি
0

টাঙ্গাইলে একটানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় করায় পুরস্কার পেল ৫০ জন শিশু-কিশোর। গতকাল (শনিবার, ১২ এপ্রিল) আসরের নামাজের পর শহরের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ার বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে সিভিল সার্জন অফিসের জেলা ইপিআইয়ের সাবেক সুপারিন্টেনডেন্ট মো. সোলায়মানের উদ্যোগে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার পেয়ে খুশি শিশু-কিশোররা। আর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মুসল্লিরা। প্রতিনিয়তই শিশুদের মসজিদমুখী করতে এ উদ্যোগ বলে জানান আয়োজক।

যে বয়সে অধিকাংশ শিশু-কিশোররা খেলাধুলায় ব্যস্ত সময় পার করছে সেই বয়সে টাঙ্গাইল পৌর শহরের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়া এলাকার বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে নামাজ আদায় করতে ছুটছে ছোট শিশু-কিশোররা।

৪০দিন আগেও ছিল ভিন্ন চিত্র। মসজিদে ছিল না তেমন শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি। একটানা ৪০ দিন শিশু-কিশোররা মসজিদে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করলে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণায় মসজিদে তাদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। এখন নিয়মিতই বড়দের সাথে মসজিদে নামাজ আদায় শিশু কিশোররা।

৫০ জন শিশু-কিশোরকে তিনটি ক্যাটাগরি ভাগ করে দেয়া হয় পুরস্কার। প্রথম ক্যাটাগরিতে ছিলেন যারা এই ৪০ দিন মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছেন। তাদের একটি করে ছাতা, একটি করে টুপি ও একটি করে সাবান পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

যারা প্রতিদিন মসজিদে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করতে পারেনি তাদের পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ভাগ করে একটি করে হাত ঘড়ি ও একটি করে সাবান দেয়া হয়। উপহার পেয়ে খুশি তারা। সারাজীবন নামাজ ও ভালো কাজের সাথে থাকার কথা জানান পুরস্কার বিজয়ীরা।

বিতরণ অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ। এছাড়া এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্যোক্তা সিভিল সার্জন অফিসের জেলা ইপিআইয়ের সাবেক সুপারিন্টেনডেন্ট মো. সোলায়মান বলেন, ‘মসজিদে নামাজ পড়তে এসে মুসল্লির সংখ্যা কম দেখে মুসল্লির সংখ্যা বাড়াতে এবং শিশু-কিশোরদের মসজিদমুখী করতে এই উদ্যোগ। এই উদ্যোগে মসজিদে বেড়েছে শিশু-কিশোরদের সংখ্যা। পরবর্তীতে বিভিন্ন মসজিদ অন্যান্য মসজিদে এমন উদ্যোগ নেয়া হবে।’

মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন, ‘খুবই ভালো একটি উদ্যোগ এটি। ছোটবেলা থেকেই মসজিদে নামাজের আগ্রহ বাড়ছে তাদের। জেলা ব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করা হবে।’

এসএস