বিবৃতিতে তিনি বলেন, সোমবার বেশ কয়েকটি শহরে গাজায় সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় সংঘটিত সহিংস ও বেআইনি ঘটনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।
এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জননিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের অবমাননা। এখন পর্যন্ত, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কমপক্ষে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরো তদন্ত চলছে এবং এই নিন্দনীয় কাজের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে গাজীপুরে গতকাল ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভের সময় বাটাসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও সিলেটে আটক হয়েছে ১৪ জন ও খুলনায় আটক হয়েছে ৩১ জন।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটক চারজনকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত বাকিদের শনাক্তের চেষ্টা চলমান রয়েছে।
এর আগে সোমবার দুপুরে নগরীর বোর্ডবাজারে গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্থানীয় জনতা। মিছিল থেকে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় বাটাসহ, কোকাকোলা, সেভেনআপ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিকাশের সাইনবোর্ড। আজও গাজায় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের কথা রয়েছে।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে বৈশ্বিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজীপুরের বোর্ডবাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয়রা। পরে মিছিল শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা বড় মসজিদের নিচে থাকা কোকাকোলা ও সেভেন আপ বিক্রির দোকান, বিকাশের এজেন্ট পয়েন্ট ও বাটা শোরুমে ভাঙচুর করে।
এদিকে ইসরায়েলির বর্বরতার প্রতিবাদে সিলেট ফাস্ট ফুড ব্র্যান্ড কেএফসির একটি আউটলেটে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা। এসময় পুলিশ বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা।





