জামালপুরের গুয়াবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক বাবু মিয়া। ২০১৯ সাল থেকে ব্রহ্মপুত্র চরের পতিত বালি জমিতে করছেন তুলার চাষ। তবে চলতি বছর তুলার উৎপাদন খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে অন্তত ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ফলে, আগের মতো লাভ পাচ্ছেন না তিনি।
তুলা চাষিরা জানান, এক বিঘা জমিতে খরচ হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। যেখানে সরকার নির্ধারিত প্রতি মন তুলা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকায়। তবে সকল আনুষঙ্গিকের দাম বাড়ায় তুলার দাম প্রতিমণ ৪ হাজার ৫শ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা করার দাবি তাদের।
তুলা চাষি বাবু মিয়া বলেন, ‘তুলার দাম অন্তত প্রতি মণ ৫০০০ টাকার ওপরে হতে হবে তাহলে সেটা ঠিক হবে। আগে বীজ কিনতাম ২৪০০ টাকা কেজিতে, এখন কিনছি ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা কেজি।’
আরেকজন তুলা চাষি বলেন, ‘এবার তুলা বেচে পোষাচ্ছে না। শ্রমিক খরচ বেশি, সারের দাম বেশি।’
এদিকে, তুলা চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছে জেলার নারীরাও। ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাস পর্যন্ত তুলা সংগ্রহ ও বিক্রি করে প্রতিদিন আয় করেন ৩শ' থেকে ৩৫০ টাকা।
একজন তুলা সংগ্রহ নারী শ্রমিক বলেন, ‘১ মাস ধরে তুলা সংগ্রহের কাজ করছি, আরও ১-২ মাস করার সুযোগ আছে। আগে ৩০০ টাকা করে পেতাম, এখন ৩৫০ টাকা করে পাই।’
জেলায় তুলা চাষ করতে চাইলে তাকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। আগামীতে অন্যান্য ফসলের মতো তুলা চাষের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানান তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা।
তুলা উন্নয়ন বোর্ড জামালপুর সদরের কটন ইউনিট অফিসার মো. আব্দুল কাদের গনি বলেন, ‘তুলা চাষে প্রত্যেকবারই কৃষকরা ভালো লাভবান হয়েছে, তারা তুলার চাষ করতে আগ্রহী। যেকারণে গতবার ২৯৫ হেক্টর জমিতে তুলার চাষ হয়েছিল, এবার ৩০০ হেক্টর জমিতে তুলার চাষ হয়েছে।’
চলতি মৌসুমে জেলায় তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫০ টন। যার বাজার মূল্য অন্তত ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকার।