এর আগে গতকাল সোমবার দুর্গাপুর উপজেলার রামবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের রামবাড়ীর দূর্গাশ্রম গ্রামের দোলন মিয়া দুলাল (২৮), শুকনাকুড়ি গ্রামের আ. মান্নান ওরফে মান্নান (৪২) এবং রামবাড়ী গ্রামের আ. আউয়াল ওরফে আবাল (৩২)।
প্রেস ব্রিফিং সূত্রে জানা গেছে, তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাত দোলন মিয়া দুলালকে আটক করা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেন দোলন মিয়া।
পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মান্নান ওরফে মান্নান ও আ. আউয়াল ওরফে আবালকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যা ও ডাকাতের ঘটনায় মোট সাতজন জড়িত ছিলো বলেও জানাই পুলিশ। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে খড়ের ঘরের পালার সাথে, বাধা অবস্থায় জয়নাল মিয়ার মরদেহ দেখতে পায় তার সহকর্মী। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিহতের ছেলে জালাল উদ্দীন বাদী হয়ে ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
নেত্রকোণা জেলা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেপ্তার, লুণ্ঠিত গরু উদ্ধার এবং ঘটনায় ব্যবহৃত পিকআপ গাড়ীটি সনাক্ত করে সহ বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।’