মানববন্ধনে চিকিৎসক, নার্স স্বাস্থ্যকর্মীসহ হাসপাতালে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন মেডিক্যাল অফিসার দাউদ শরীফ, নার্স ইনচার্জ সাইনী চেকসী ম্রং, স্বাস্থ্য সহকারী এসোসিয়েশনের সভাপতি আকিকুর রহমান তালুকদার সহ অনেকেই।
এ সময় তারা জানান, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বদলি হয়। এর পর নতুন কোনো কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত যোগদান করেনি। ফলে তিন মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখনো নতুন কর্মকর্তা যোগদান করেনি। ফলে চলমান রোজা ও আসন্ন ঈদকে ঘিরে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে সবার। ঈদের আগেই আয়না ব্যয়ন কর্মকর্তা নিয়োগ এবং বেতন ভাতা চালু করার দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, ‘নতুন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যোগদান না করায় তিনমাস ধরে বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। আমি ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে অফিসিয়াল অন্যান্য কাজ করতে পারলেও আর্থিক বিষয়ের ক্ষমতা নেই। একজন পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দ্রুত নিয়োগের মাধ্যমে ঈদের আগেই সবার বেতন ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ১৩০ জনের বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। মানববন্ধন শেষে কর্তৃপক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।