ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বহু পরিবর্তন, এটা আমি বলবো, যে ধ্বংসাবশেষ থেকে এসেছিলাম, তার নতুন চেহারা আসছে। ভেসে উঠেছে যে, আমরা অর্থনীতি সহজ করেছি। দেশ বিদেশের আস্থা অর্জন করেছি।’
স্বৈরশাসকের পতনের পর দেশের নেতৃত্ব নেয়ার প্রায় সাত মাসে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সংস্কার ও নির্বাচন, ছাত্র নেতৃত্বে নতুন দল গঠনসহ রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এভাবেই পুরো সময়টা বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, 'নেতৃত্ব ছেড়ে, দেশ ছেড়ে পালানো দল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।'
ড. ইউনূস বলেন, ‘একটা পলাতক দল দেশ ছেড়ে চলে গেছে বা তাদের নেতৃত্ব চলে গেছে। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এটাকে আনসেটেল করার জন্য। এটাতো সবসময় থ্রেট আছেই। প্রতিক্ষনেই আছে, প্রতি জায়গাতেই আছে। কাজেই এটাতো সবসময় থাকবে।’
বিবিসি বাংলার করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘অপরাধের পরিমাণ মোটেই বাড়েনি। নিয়মশৃঙ্খলা আরো উন্নত করতে কাজ করছে সরকার।’
ঐক্যের মধ্যে ফাটল প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে সবাই সমর্থন করছে। সবাই চাইছে দেশ সুন্দরভাবে চলুক, তাদের মধ্যে ঐক্য আছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘চেষ্টা করছি আমরা। সমস্যা আপনিও জানেন, আমিও জানি। প্রথম দিকে সমস্যা ছিল যে পুলিশ বাহিনী যাকে দিয়ে আমরা কাজ করাচ্ছিলাম, তারা ভয়ে রাস্তায় নামছিল না। দুইদিন আগে তারা এদেরকে গুলি করেছে। কাজেই মানুষ দেখলেই সে ভয় পায়। কাজেই তাকে ঠিক করতে করতেই আমাদের কয়েক মাস চলে গেছে। এখন মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। এখন আবার নিয়মশৃঙ্খলার দিকে আমরা রওনা হয়েছি। কাজ করতে থাকবো।'
সেনাবাহিনীর সহযোগিতা প্রশ্নে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সর্বাত্মক সহযোগিতা পাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতের সঙ্গে অবনতি প্রসঙ্গে বলেন, সম্পর্কের অবনতি হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক আরও ভালো হবে।
তিনি বলেন, 'খুবই ভালো। আমাদের সম্পর্কের কোনো অবনতি হয় নাই। আমি যেভাবে ব্যাখ্যা করে এসেছি আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভালো থাকবে। এখনও ভালো আছে, ভবিষ্যতেও ভালো থাকবে।'
সংস্কার নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সবাই একমত হলে সুপারিশগুলো একত্রিত করে জুলাই চার্টার করা হবে, সেই প্রেক্ষিতেই হবে নির্বাচন।