জানা যায়, সাকিব ছাড়াও আরো দু’জনের বিরুদ্ধে একই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদ পড়া, তারও আগে দেশের মাটিতে টেস্ট খেলে বিদায়ের ইচ্ছে পূরণ না হওয়া- মুদ্রার ওপিঠের সব অমানিশা একসঙ্গে ঘিরে ধরেছে তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। এসবের মাঝেই শুনলেন আরো একটি দু:সংবাদ। এবার চেক জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের জন্য ২০১৭ সালে আইএফআইসি ব্যাংকের বনানি শাখা থেকে দেড় কোটি টাকার ঋণ নেয়া হয়। তবে নির্ধারিত সময়ে সে ঋণ পরিশোধ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে বাড়তে থাকে ঋণের পরিমাণ। এ নিয়ে ব্যাংকের পক্ষ থেকে সাকিব অ্যাগ্রো ফার্মকে নোটিশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী গেল বছরের সেপ্টেম্বরে ব্যাংককে ৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার দু'টি চেক দেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে ফার্মের অ্যাকাউন্টে এ পরিমাণ টাকা না থাকায় চেক দুটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।
ফলে আবারও সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডকে আইনি নোটিশ পাঠায় আইএফআইসি ব্যাংক। তবে টাকা পরিশোধ না করায় ১৫ ডিসেম্বর ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এসময় আদালতে প্রতিষ্ঠানটির দু'জন পরিচালক হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলেও, চেয়ারম্যান ও এমডি হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তনের পর থেকে আর দেশে ফেরেননি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর সাকিবসহ চার জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। ওই সময় ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত এ আদেশ দেন।