এখন জনপদে
0

দখল-দূষণে মৃতপ্রায় এতিমখানা খাল, ভোগান্তিতে হাজারো পরিবার

সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবহমান নদী ও খালকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে শহর ও বন্দর। তবে অব্যবস্থাপনায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের পয়ঃনিষ্কাশনের খালটিও দখল-দূষণে মৃতপ্রায়। এতে ভোগান্তিতে দুই তীরের হাজারো পরিবার। খাল পুনরুদ্ধার ও পানির প্রবাহ অব্যাহত রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছে ভূমি অফিস।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ‘এতিমখানা’ খাল। সত্তর থেকে আশির দশকে খালের ওপর নির্ভর করেই সমৃদ্ধ হয়েছে শহরের আর্থসামাজিক অবস্থার। তবে দখল ও দূষণে এখন মৃতপ্রায় আন্ধারমানিক নদের এই শাখা খালটি।

শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই খাল। তবে এতিমখানা থেকে রহমতপুর এলাকা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার অংশে বন্ধ রয়েছে প্রবাহ। মশার উপদ্রব ও দুর্গন্ধে ভোগান্তিতে দুই তীরের বাসিন্দারা। বাড়ছে রোগবালাই।

স্থানীয় একজন বলেন, ‘খালের ভেতর ভবন করে খাল দখল করছে। আমাদের ব্যবসার অনেক সমস্যা হয়।’ পুরো শহরের কৃষি ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে এই খালকে কেন্দ্র করেই। তাই খালটি রক্ষার দাবি স্থানীয়দের।

কলাপাড়া পরিবেশ কর্মী মেজবাহ উদ্দিন মাননু বলেন, ‘যারা দখল করেছে এই দুর্বৃত্তদের উচ্ছেদ করে দেয়া দরকার। খালটি খনন করে খালটির নাব্যতা রক্ষা করা দরকার।’

কলাপাড়া নাগরিক অধিকারের আহ্বায়ক নাসির তালুকদার বলেন, ‘সবধরনের বর্জ্য এখানে ফেলা হয়। এবং কালটির নাব্যতা শেষ হয়ে গেছে। এবং দখল-দূষণে একাকার হয়ে গেছে।’

ভূমি অফিস বলছে, শহর আধুনিকায়ন ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ চলছে। একইসঙ্গে খালটিও পুনরুদ্ধার এবং অবৈধ দখলমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান সহকারী কমিশনার।

কলাপাড়া সহকারী কমিশনার কৌশিক আহমেদ বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। শুকনো মৌসুমে আমরা কার্যক্রম শুরু করবো।’

খালটি রক্ষায় শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।

এসএস