চড়া ভ্যাটের দাপটে হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়া যেন সাধারণ আয়ের মানুষের হয়ে উঠছে বিলাসিতা। একহাজার টাকার খাবার খেলে ভ্যাট গুনতে হচ্ছে ১৫০ টাকা।
শতাধিক-পণ্য ও সেবায় ভ্যাট-শুল্ক বাড়ানোর পর ব্যবসা খাত থেকে প্রথম প্রতিক্রিয়া জানায় হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। তাদের দাবি, হোটেল রেস্তোরাঁয় খেলে সেবার ওপর বাড়তি ১০ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে আগের ৫ শতাংশই পুনর্বহাল করা।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এনবিআর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন রেস্তোরাঁ মালিক ও শ্রমিকরা। রেস্তোরাঁ খাত থেকে ভ্যাট-রাজস্ব আহরণ বাড়াতে আলোচনার মাধ্যমে এনবিআরকে পরামর্শ সহায়তা দিতে আগ্রহী বলে জানান তারা। এর আগে বুধবার রাতে এনবিআরের পক্ষ থেকে পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিলেও সে চিঠি স্পষ্ট ছিল না বলে দাবি রেস্তোরাঁ মালিকদের।
এসময় রেস্তোরাঁয় ভ্যাট পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে জানিয়ে এনবিআর বলছে, রেস্তোরাঁয় ভ্যাট ৫ শতাংশ থাকবে। এছাড়া ওষুধ ও আইএসপি ইন্টারনেটেও পুনর্বিবেচনা হবে, তবে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (মূসক আইন ও বিধি) বদরুজ্জামান মুন্সী বলেন, ‘ওষুধের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক পর্যায়ে দশমিক ৬ শতাংশ ভ্যাট বাড়ানোর হয়েছিল সে বিষয়টি পুনঃ বিবেচনা করছে এবং ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি আরোপ করা হয়েছিল সেটাও পুনঃ বিবেচনা করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যে রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে ভ্যাট পূর্বের ন্যায় ৫ শতাংশ থাকবে।’
চলতি অর্থ বছরের অর্ধেক সময়ে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি আছে ৪২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আইএমএফের ঋণের কিস্তি খালাসে শর্ত অনুযায়ী অতিরিক্ত আহরণ করতে হবে ১২ হাজার কোটি টাকা। যদি দুর্বল ব্যাংকগুলোর নন পারফর্মিং ও বেশকিছু কোম্পানি থেকে রাজস্ব কমে যাওয়ায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে শতাধিক পণ্যে ভাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বলছে এনবিআর।