এর আগে গতকাল (রোববার, ১২ জানুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্তমঞ্চে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে অনুষ্ঠিত জনসভায় জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রতিহতের ঘোষণা দেন দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা। বেশ কিছুদিন ধরেই বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির বিরোধিতা করে আসছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হকের নেতৃত্বাধীন একাংশের নেতাকর্মীরা।
কারণে দর্শানো নোটিশে বলা হয়, গত ৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ উপজেলার একটি রেস্তোরাঁয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু, অর্থনৈতিক বিষয় সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান ও সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম এবং সদস্য হাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় উত্থাপিত দাবি বাস্তবায়নের আগেই সম্মেলন বিরোধী সমাবেশ করা হচ্ছে, যা সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপ।
এ অবস্থায় হাফিজুর রহমান মোল্লা ও জহিরুল হকের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না? আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে তার জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে নোটিশে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বলেন, 'আজ দুপুরে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছি। নোটিশের জবাব প্রস্তুত করছি। তবে আমরা সম্মেলন বিরোধী সমাবেশ করিনি, ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ করেছি। তাছাড়া আশুগঞ্জে অনুষ্ঠিত সভায় এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি যে, আমরা কোনো সমাবেশ করতে পারবো না।'
আগামী ১৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বিরোধিতাকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১৭ বছর দলের আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেয়া নির্যাতিত এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সম্মেলন করার পাঁয়তারা হচ্ছে। কেন্দ্রের কাছে এটির সুরাহা চাওয়ার পাশাপাশি গতকাল জেলা বিএনপির একাংশের আয়োজিত জনসভায় সম্মেলন না করতে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।