মানববন্ধনে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, 'সাসেক প্রকল্পের অধীনে চলমান কাঁচপুর থেকে সিলেট পর্যন্ত ২০০ কিলোমিটার সড়কের ছয় লেনের কাজ চলমান রয়েছে। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাবাদীদের মদদে নরসিংদীর ঐতিহ্য, প্রাচ্যের ম্যানচেষ্টার খ্যাত শেখেরচর-বাবুরহাট ও মাধবদীকে পাশ কাটিয়ে আট কিলোমিটার সড়কে বাইপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। যার ফলে বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি নষ্টের পাশাপাশি এই অঞ্চলের ব্যবসা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।'
মাধবদী ও বাবুরহাটে সপ্তাহে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয় উল্লেখ করে বাবুরহাট ও মাধবদীকে পাশ কাটিয়ে সড়ক নির্মিত হলে এসব লেনদেন কমে যাওয়ার পাশাপাশি ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানে ভাটা পড়বে বলে দাবি মানববন্ধনকারীদের।
মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন 'আমরা মাধবদীবাসী' স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু। এ সময় তিনি বলেন, 'এই মাধবদী এবং বাবুরহাটের লেনদেনকে ঘিরে প্রায় অর্ধশত ব্যাংকের শাখা রয়েছে। প্রায় ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান এই এলাকায়। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়। মাধবদী ও বাবুরহাটকে পাশ কাটিয়ে সড়ক নির্মাণ হলে বিপুল পরিমাণ মানুষ কর্ম হারাবে। এছাড়া সকল প্রকার ব্যবসায়ে লেনদেন অনেকটা কমে যাবে। মাধবদী এবং বাবুরহাটের যে ঐতিহ্য সেটি ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। যার ফলশ্রুতিতে বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে মাধবদী ও বাবুরহাটকে পাশ কাটিয়ে এই বাইপাস সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। এই মুহূর্তে আমরা তার কোনোভাবেই মানতে পারছি না। সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের রক্ষার জন্য আমরা মাঠে নেমেছি।'
সালেক চৌধুরী নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, 'স্বৈরাচারের আমলে সুবিধাভোগী কিছু গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রি তাদের ব্যক্তিগত ব্যবসায়ের উদ্দেশে বাবুরহাট এবং মাধুরীকে বাদ দিয়ে পাঁচদোনা মোড় থেকে বাইপাস সড়ক নির্মাণের চেষ্টা করে তৎকালীন সরকারকে টাকা দিয়ে। আমরা তো কোনোভাবেই মানতে পারছি না, এরকম চলতে থাকলে বাবুরহাট অচিরেই ধ্বংসের পথে যাবে। এই সমস্যা থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই।'
এসময় উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোমেন মোল্লা, নরসিংদী সদর থানা বিএনপির সভাপতি আবু সালেহ চৌধুরী, শহর বিএনপির সভাপতি আমান উল্লাহ আমানসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।