দেশে এখন
0

বিডিআর সদস্যদের মুক্তি- ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসনের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার, নির্দোষ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিডিআর) সদস্যদের মুক্তি ও ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসনের দাবিতে গণজমায়েত শেষে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। আজ (বুধবার, ৭ জানুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কর্মসূচি শেষে পদযাত্রা শুরু হয় যমুনা অভিমুখে। পরে শাহবাগে পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর স্মারকলিপি পৌঁছে দেয় প্রতিনিধিদল। আর পরবর্তী দিক নির্দেশনার জন্য ১১ সদস্যের এডহক কমিটি গঠন করেছে পিলখানা হত্যার সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশীরা।

জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের সর্বস্তরে ন্যায়বিচারের যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, তাই যেন কণ্ঠে ধারণ করেছেন পিলখানা হত্যায় ভুক্তভোগীরা।

বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপস্থিত হতে শুরু করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নির্যাতনের শিকার দাবি করা সৈনিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, তৎকালীন সরকার এই হত্যাকাণ্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ হিসেবে চালিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করেছে।

বিডিআর বিদ্রোহে কারাগারে থাকা এক সৈনিকের স্ত্রী বলেন, 'আমার দুইটা ছেলে। দুই ছেলেই বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু তারা কিছু করতে পারছে না তার বাবার জন্য। দুই ছেলে কান্নাকাটি করে। তার মুক্তি চাই।'

গণজমায়েতে দাবি তোলা হয়, সারাদেশে চাকরিচ্যুত সকল বিডিআর সদস্য ও পরিবারকে পুনর্বাসন করতে হবে। নির্দোষ সদস্যদের মুক্তির দাবি জানিয়ে ভুক্তভোগীরা বলেন, স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, 'যারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, তারা দোষীই থাকবে। তাহলে পুনঃতদন্ত করে কী লাভ? আমরা বলতে চাই, একজন বিডিআরও যদি রাষ্ট্রীয় জুলুমের শিকার হয় এই নতুন বাংলাদেশে আমরা ছাত্রসমাজ তা মেনে নিব না।'

গণজমায়েত শেষে, প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে ঘোষণা করা হয় মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি। শাহবাগ পর্যন্ত পৌঁছালে পদযাত্রা আটকে দেয় পুলিশ। এসময়, সেখানে অবস্থান নিয়েই স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।

পরে, প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে যমুনায় যান চার শিক্ষার্থী প্রতিনিধিসহ সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল।

এর আগে স্বাধীন তদন্ত কমিশনকে ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে রিট করেন এক আইনজীবী। প্রত্যাশা দ্রুত বিচারের মাধ্যমে নির্দোষদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।

এদিকে পিলখানা হত্যা নিয়ে নিম্ন আদালতে চলমান মামলার রায় হতে পারে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার, ৮ জানুয়ারি)। বাদীপক্ষ আশা করছেন, এবার খালাস পাবেন তৎকালীন বিডিআরের নির্দোষ সদস্যরা।

এসএস