কেপলারের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে বার্ষিক এলএনজি শিপমেন্ট দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৪১ কোটি ৪০ লাখ টনে দাঁড়াবে। এছাড়া মার্কিন এলএনজি প্রকল্পগুলোতে বিলম্ব এবং রাশিয়ার নতুন গ্যাস স্থাপনার ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন এলএনজি সরবরাহ আরো সীমিত হয়েছে।
২০২২ সালে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপে পাইপলাইনের গ্যাস বন্ধ করে দেয়ায় ইউরোপের এলএনজি নির্ভরতা আরো বেড়েছে। এ ঘাটতির কারণেই ইউরোপ ও এশিয়ায় এলএনজির দাম বেড়েছে।
তবে বিশ্লেষকরা প্রত্যাশা করছেন, ২০২৫ সালে বৈশ্বিক এলএনজি সরবরাহ সংকট কিছুটা কমতে পারে, এর প্রধান কারণ নতুন মার্কিন এলএনজি প্রকল্প এবং কানাডিয়ান এলএনজি ফ্যাসিলিটিতে উৎপাদন বাড়ানো।
মার্কিন ভেঞ্চার গ্লোবাল এলএনজি ইনকরপোরেটেডের প্লাকমাইনস প্ল্যান্টটি গত সপ্তাহে তার প্রথম শিপমেন্ট রপ্তানি করেছে। এদিকে চেনিয়ার এনার্জি ইনকরপোরেটেডের করপাস ক্রিস্টি প্ল্যান্টটিও উৎপাদন শুরু করেছে।
কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, শীর্ষ এলএনজি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র নিজের অবস্থান এবারও ধরে রেখেছে, ২০২৪ সালে দেশটি রেকর্ড পরিমাণ ৮ কোটি ৭০ লাখ টন এলএনজি রপ্তানি করেছে।
এদিকে, ২০২৪ সালে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো সবচেয়ে বড় এলএনজি ক্রেতা ছিল চীন। দেশটি প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ টনেরও বেশি এলএনজি আমদানি করেছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।