বরগুনা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ মরিয়ম আক্তার খাতুন বলেন, ‘আমার পাশের কেবিনে তিনটা বাচ্চা ছিল। তাদেরকে বাঁচানো যায়নি। এ রকম ঘটনা আসলে বলে বোঝানো যাবে না।’
স্কাউট কর্মীদের একজন বলেন, ‘এ রকম ঘটনা যেন আর কখনো না হয়। সেজন্য আমরা বরগুনায় আধুনিক লঞ্চ দেয়ার দাবি জানাই।’
এদিকে, দীর্ঘ সময় পার হলেও বরগুনার নৌরুটে বাড়েনি সেবার মান। নিরাপত্তা সরঞ্জাম কিংবা যাত্রী সেবায় তোয়াক্কা করছেন না লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। পুরানো লঞ্চের ধীরগতি ও নিম্নমানের সেবায় বিড়ম্বনার শিকার যাত্রীরা।
যাত্রীদের একজন বলেন, ‘বিকাল ৫ টার সময় উঠেছি এখন দুপুর ১২টা বাজে। অবশ্যই লঞ্চে এত সময় থাকতে আমাদের কষ্ট হয়েছে।’
নিজস্ব নৌযানের সংকট থাকায় ভাড়া করা লঞ্চ দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান। এদিকে, যাত্রী সংকটের অজুহাতে বন্ধ করে রাখা হয়েছে ঢাকা-আমতলী রুটের লঞ্চ যোগাযোগ।
যাত্রীদের অভিযোগ, এ বিষয়ে উদাসীন বরগুনা নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে, কর্তৃপক্ষ জানান লঞ্চ মালিকদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
বরগুনা নদী বন্দরের সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা সৈয়দ মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘এ নদীপথের লঞ্চগুলো চলাচলের বিষয়ে মালিকদের সাথে কথা হচ্ছে।’