নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দিবাগত রাতে পাঁচদোনা বাজার এলাকার একটি মাঠে হুমায়ুনসহ কয়েকজন ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। রাত ১২টার দিকে শাহ আলম ও টিটু নামে একই এলাকার দুইজন যুবক হুমায়ুনকে কথা বলার জন্য খেলার মাঠের অদূরে পাঁচদোনা বাজার মাছের আড়ত মসজিদের দিকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপরই গুলির শব্দ শুনতে পান মাঠে থাকা অন্যরা। এসময় মাঠে থাকা তার স্বজনরা এগিয়ে গেলে তাদেরকে লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলি ছুড়ে মোটরবাইকে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে বুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হুমায়ুনকে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি।
এদিকে এলাকাবাসি ও স্বজনরা তাকে ছাত্রদল কর্মী দাবি করলেও থানা, ইউনিয়ন কিংবা কোথাও কোনো পদ পদবি পাওয়া যায়নি তার। অপরদিকে হত্যার শিকার হওয়া হুমায়ুনের বিরুদ্ধে ৩টি মাদকসহ ৪ টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে পুলিশও সুনিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছেনা।
নিহতের ভাই আল মামুন বলেন, 'একই এলাকার শাহ আলম এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। শাহ আলম একজন পেশাদার খুনি। বাদল নামে একজনের সাথে আমাদের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে । সেই বাদল মার্ডারের টাকার যোগানদাতা বলে ধারণা করছি। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।'
পুলিশ সুপার মো. আবদুল হান্নান বলেন, 'হুমায়ুনের নামে ২টি মাদকসহ মোট ৪টি মামলা আছে। সে এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিল, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাদক ব্যবসা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। এদিকে, তার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে সুনিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা কিছুই।'