আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে সবচেয়ে বেশি লুটপাট হয়েছে ব্যাংক খাতে। অনিয়ম-দুর্নীতি করে ব্যাংক খাত থেকে যে অর্থ লুট হয়েছে, অভিযোগ আছে তার বড় অংশই পাচার হয়েছে।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রাজধানীর সিরডাপ অডিটরিয়ামে খোলামেলা কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। বলেন, ব্যাংকিংসহ আর্থিক খাত ও মূল্যস্ফীতির তথ্য নিয়ে বিগত সরকারের মতো কোনো ধরনের কারচুপি করছে না অন্তর্বর্তী সরকার।
এছাড়া শেয়ার বাজারে বিশৃঙ্খলা জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকেই দায়ী করেন অর্থ উপদেষ্টা। বলেন, বিএসইসি'র অনিয়মে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শেয়ারবাজারে বিশৃঙ্খলার জন্য বিনিয়োগকারী নয়, প্লেয়ার আর রেগুলেটরি অথরিটি দায়ী।’
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে দুরাবস্থার জন্য কারসাজিকারীদের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থারও দায় রয়েছে। তথ্য নিয়ে যে অভিযোগ ছিলো, বর্তমানে তথ্যের গুণগতমান আর যথাসময়ে প্রকাশের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কোনো কারচুপি করা হচ্ছে না।’
এ সময় সালেহউদ্দিন বলেন, ‘সংস্কারের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, ভবিষ্যতে আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খলা রোধে তা সহায়ক হবে।’
আর্থিক খাত ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে জানিয়ে অর্থ সচিব বলেন, ‘ভবিষ্যতে এই খাতে বিশৃঙ্খলা রোধে এ সংস্কার কাজে দেবে।’
আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিতে সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষায় চ্যালেঞ্জে রয়েছে বলে জানান অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান।
ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা আনতে স্বাধীন ব্যাংক কমিশন গঠনেরও দাবি করেন কেউ কেউ।