দেশে এখন
0

আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ: অর্থ উপদেষ্টা

আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ (বুধবার, ১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের প্রভাব পড়ছে বলে জানান তিনি। এ সময় আজ অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে সব পণ্যের দাম একসাথে কমা সম্ভব নয়; তবে বাজার স্থিতিশীল আছে।’

গেল ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতন ও দেশের পট পরিবর্তনের পর সিন্ডিকেটের কবলে থাকা বাজারে বাড়তে থাকে সব ধরনের পণ্যের দাম। যে তালিকার শীর্ষে ছিল নিত্য প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ, ডিম আর আলু।

গত আগস্টে কেজিপ্রতি ৬০ টাকা দরের আলু হঠাৎ বেড়ে হয়েছিল ৮০-৯০ টাকায়। তবে দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এ অবস্থায় ৪ সেপ্টেম্বর আলু আমদানিতে শুল্ক রেয়াত সুবিধার প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ বহাল রাখা হয়। তবুও দাম না কমায় আরো এক মাস শুল্ক রেয়াত সুবিধা বাড়ানোর কথা ভাবছে সরকার।

গেল কয়েক সপ্তাহে পেঁয়াজ ও ডিমের দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও আলুর ক্ষেত্রে অনেকটাই ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার। বাজারে দেশি নতুন আলু আসার পরেও দাম কমছে না কেন? ব্যবসায়ীদের সরল উত্তর সরবরাহ কম।

তবে আলুর দাম বৃদ্ধির বিষয়ে চ্যালেঞ্জের কথা স্পষ্ট করলেন অর্থ উপদেষ্টা। তবে বাজার স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবি তার।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দাম কমতে হবে এমন মনোভাব রাখলে সেটা আমাদের জন্য কঠিন হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে বাজার এমন একটা বিষয়টা যেখানে একটা জিনিসের দাম কমবে তো অন্যটার দাম বাড়বে। আমরা পূর্ণ চেষ্টা করছি তবে আলু দামটা নিয়ন্ত্রণ কিছু চ্যালেঞ্জিং হচ্ছে।’

আজ (বুধবার, ১১ ডিসেম্বর) ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তেল, মসুর ডাল ও এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে নতুন বছরের বই কেনা প্রসঙ্গেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের মসুর ডাল, পাম ও সয়াবিন তেল, এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া পাঠ্য বইগুলো আমরা অতি দ্রুত আনতে চাচ্ছি।’

বাজারে যাতে পণ্যের ঘাটতি না হয় সে জন্য ঘনঘন ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এএম