গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় দোহায় হোটেল শেরাটনে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ বিন আব্দুলাজিজ বিন সালেহ আল খোলাইফির সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিল বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি তুলে ধরেন। কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে তিনি জানান, প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশে অবস্থান করায় সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সমস্যা তৈরি হচ্ছে এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ ও প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ রোহিঙ্গা ইস্যুতে সর্বসম্মতিক্রমে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী বছরে অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনের বিষয়ে কাতার সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করতে পারে।
কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে বিস্তৃত সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি হাই রিপ্রেজেন্টেটিভকে জানান, রোহিঙ্গাদের অমানবিক পরিস্থিতি ও মুসলমান হিসেবে রোহিঙ্গাদের বিষয়টিকে কাতার বিশেষ গুরুত্বারোপ করে থাকে।
বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিন সালেহ আল খোলাইফি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি যথেষ্ট স্থিতিশীল বলে অবহিত করেন হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান।
কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি কাতারের জোরালো সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও জনগণকে তাঁর আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
এ সময় কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম ও মিশন উপপ্রধান মো. ওয়ালিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।