দেয়ালে দেয়ালে টাঙানো কার্টুনে দুর্নীতির আখ্যান। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যখন বলা যায় না, লেখা যায় না তখনও, শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে কার্টুন।
প্রতিবছরের মতো এবারও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবির ১৯তম দুর্নীতিবিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতায় তুলে ধরা হয়েছে দেশের দুর্নীতির পাশাপাশি স্বৈরাচারী সরকারের অপকর্মের নানা দিক। আঙুলের স্পর্শে তুলে ধরা হয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
এবারের আয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দু'টি বয়সভিত্তিক বিভাগ, ডিজিটাল কার্টুন ও কমিক স্ট্রিপ বিভাগে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে, যাদের কার্টুনে অর্থনীতির দুর্দশার পাশাপাশি উঠে এসেছে ছাত্র-জনতার বিপ্লবও।
উন্মাদের সম্পাদক আহসান হাবীব বলেন, 'এ বছর একটু অন্যরকম হয়েছে। কারণ এবার তো একটা বড় বিপ্লব হয়ে গেছে সেটা প্রতিফলন তো ছিলই। এবার দু'টি নতুন জিনিস ঢুকানো হয়েছে। এর একটা হচ্ছে ডিজিটাল কার্টুন এর সাথে কমিকস।'
ডেইলি নিউ এইজের সিনিয়র কার্টুনিস্ট মেহেদী হক বলেন, 'এর আগে আমি নিজেও একজন পার্টিসিপেট ছিলাম। এবার আমি অন্যতম জুরি এই ইভেন্টের। সবই দুর্নীতি নিয়ে, তারপরও একটা আলাদা ছোঁয়া আছে। এখানে জুলাই অভ্যুত্থানের একটা ছোঁয়া আছে।'
এই বছর তরুণদের অংশগ্রহণ বেশি উল্লেখ করে কার্টুনে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা দেয়া হয়েছে বলে জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, 'আমাদের যে কর্তৃত্ববাদের বিকাশ হয়েছে দার মধ্যে অন্যতম উপাদানই ছিল দুর্নীতি। এর মাধ্যমে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে এবং তারই প্রতিফলন আন্দোলনে প্রকাশিত হয়েছিল। সেটারই প্রতিফলন আমরা এই কার্টুনগুলোর মধ্যে দেখতে পাই।'
টিআইবির এবারের দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতায় ১৬০ জন কার্টুনিস্ট অংশগ্রহণ করে, যাদের মধ্যে ৪২ জনকে পুরস্কার দেয় হয়। পরে প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন সুইডেন ও নেদারল্যান্ডস দূতাবাস কর্মকর্তারা।
প্রতিযোগিতার সেরা ৬৩টি কার্টুন নিয়ে দু'সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী চলবে টিআইবির প্রধান কার্যালয়ে।