অর্থনীতি
0

পটুয়াখালীতে শতকোটি টাকার শুঁটকি উৎপাদনের আশা

সুনীল অর্থনীতির বিশাল ভাণ্ডার বঙ্গোপসাগর। বছর জুড়ে সমুদ্রের বিভিন্ন স্তরে বিচরণ করে ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। পটুয়াখালীর মহিপুরে চলতি শুঁটকি মৌসুমে জেলেদের জালে ধরা পড়া চিংড়ি, ফাইশ্যা, পোয়া, বইরাগী, লইট্যাসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন উৎপাদকরা। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শতকোটি টাকার শুঁটকি উৎপাদনের আশা সংশ্লিষ্টদের।

অগ্রহায়নের শুরু থেকেই পটুয়াখালীর মহিপুরে আন্ধারমানিক নদের মোহনার প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলছে শুঁটকি উৎপাদনের কর্মযজ্ঞ। ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলেদের আহরিত চিংড়ি প্রক্রিয়াজাত করে শুঁটকি উৎপাদন করা হয় এখানে।

ছোট ছোট চিংড়ি কোনো ধরনের রাসায়নিক ছাড়াই মাত্র ৬ ঘণ্টায় রোদে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। এখানকার শুঁটকি ঢাকা, সৈয়দপুর, চট্টগ্রাম, জামালপুরের বিভিন্ন মোকামে যায়। এছাড়া চিংড়ির নাপ্পি চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানসহ পার্শ্ববর্তী দেশে রপ্তানি করে লাভবান হচ্ছেন উৎপাদনকারীরা।

এদিকে, মহিপুরের খালগোড়ায় উৎপাদন হচ্ছে ছুড়ি, ফাইশ্যা, পোয়া, বইরাগী, লইট্যাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি। তিন থেকে সাত দিন রোদে শুকানো এসব শুঁটকি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। প্রতি সপ্তাহে লেনদেন হয় ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা। একই সাথে শুঁটকি উৎপাদনে অর্জিত হচ্ছে উপকূলীয় মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা।

পটুয়াখালীর মহিপুরের উৎপাদিত শুঁটকি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। এ পেশার সাথে জড়িতদের প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও রাজস্ব আয় সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এএইচ