এখন মাঠে , ক্রিকেট
দেশে এখন
0

ক্রিকেট ক্লাব দখল করে আবাসিক বাড়ি, তেড়ে এলেন টিভি ক্যামেরা দেখে

এক সময়ের সুপরিচিত মিরপুরের 'ইয়াং ক্রিকেটার্স ক্লাবের' পরিত্যক্ত জমি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন এখন টিভির রিপোর্টার ও ক্যামেরাপার্সন। হেনস্তাকারী ও জমি দখলে রাখা শোয়েব রানা নামের স্থানীয় ওই ব্যক্তি, নিজেকে সন্ত্রাসী হিসেবেও পরিচয় দেন।

এক সময় বেশ নামডাক ছিল মিরপুরের ইয়াং ক্রিকেটার্স ক্লাবের। অংশগ্রহণ ছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রিমিয়ার লিগেও। এরপর প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে খেলে কোনোরকম নিজেদের টিকিয়ে রাখা ক্লাবটি সঠিক পরিচালনার অভাবে বিলীন হয়ে যায় ঢাকার ক্রিকেট থেকে। এখন আর ক্রিকেটের কোথাও নেই ক্লাবটি। পরিত্যক্ত থাকে ক্লাবের জায়গাটি। একপর্যায়ে সেখানে আবাসিক ভবন গড়ে উঠে, পরবর্তীতে সরকারি নিয়ন্ত্রণে চলে যায় জমিটি।

পরবর্তীতে ২০১৭ সাল থেকে ভবনটি দখলে রাখেন শোয়েব রানা নামের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রতিবেদক এবং চিত্র সংগ্রাহকের দিকে তেড়ে আসেন শোয়েব। নিজেকে সন্ত্রাসী বলেও পরিচয় দেন তিনি।

শোয়েব বলেন, ‘এই জায়গা যাদের নামে বরাদ্দ করা হয়েছিল সেটা বাতিল হয়েছে ৬৫ সালের দিকে। সেই বাতিলের পরে এইটা এখন সরকারি খাস জমি। এই সরকারকে আসতে বলেন। আমি জোর করে আছি। সরকারের চেয়ে আমি ১ হাজার গুণ দুর্ধর্ষ। তাই আমি জোর করে আছি। সভাপতি ও সেক্রেটারির নামে জিডি করার পরে আমি ফাউন্ডিং মেম্বার থাকার কারণে এই জমি আমি দখল নিয়েছি।’

একসময় ইয়াং ক্রিকেট ক্লাবে খেলেছেন এমন একজন জানালেন তার আক্ষেপের কথা।

একজন বলেন, ‘যখন মাঠ বন্ধ হয়ে গেল। ক্লাব টাও নেমে গেল তখন আর ক্লাব নিয়ে আর তেমন কথা হয় না। ক্লাব নিয়ে কারো আগ্রহ আর ছিল না কারো। কেউ চিন্তাও করতো না। যে কারণে ক্লাবটা নেই।’

ভবনটিতে নিজে থাকার পাশাপাশি ভাড়াও দিয়েছেন দখলদার শোয়েব। অবশ্য বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা হবার কারণে বাড়িটির বরাদ্দ চেয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দেন তিনি। তবে সিদ্ধান্ত জানায়নি প্রশাসন।

এদিকে সরকারি জমি কীভাবে বেদখল হলো তার উত্তর নেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ভূমি কর্মকর্তার কাছে।

ইএ