গ্রাম বা শহর সব স্থানের মানুষকেই কম-বেশি বাজার যেতে হয়। আর বাজার মানেই অপরিচ্ছন্ন আর ভিড়ে ঠাসা অস্বস্তিকর পরিবেশ। আবার দরদাম করতে গিয়ে মেজাজ হারান অনেকেই। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার বিপরীতে শহুরে জীবনে অনেকটা স্বস্তি এনেছে সুপারশপ।
সুপারশপে কেনাকাটা মানেই এক ছাদের নিচে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের সমাহার। চিরচেনা হাঁকডাকের বিপরীতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিপাটি সজ্জার বিশাল বাজারের সম্ভার। নিত্যপণ্য থেকে পোশাক-পরিচ্ছদ বা খেলনা সবই মেলে সুপারশপে। শৌখিন সজ্জাসামগ্রী বা জীবন রক্ষাকারী ওষুধও বাদ নেই। পছন্দসই পণ্য বাছাই করে ঝুড়ি ভরার সুযোগ শুধু উচ্চ আয়ের মানুষকেই সুপারশপে টানছে না, মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্তও সুযোগ পেলে ঢুঁ মারার চেষ্টা করছেন সুপারশপে।
২০২০ সালে শেরপুর জেলা শহরে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করে সুপারশপ। সময়ের পরিবর্তনে জেলায় সুপারশপের সংখ্যা ১০ এর বেশি। এদিকে ক্রেতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও বিক্রি ভাল হওয়ায় বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন সুপারশপ মালিকরা।
ব্যবসায় প্রতিযোগিতা বাড়ায় সুপারশপগুলো অনেক পণ্যে ছাড় দিয়ে থাকে। নিয়মিত ক্রেতাদের ডিসকাউন্ট কার্ডও দেয় তারা। প্রচলিত বাজারে কেনাকাটার তুলনায় সুপারশপে সময় বাঁচে অনেকটা।
বাজারে বিক্রি হওয়া পণ্যের কোনটি আসল আর কোনটি নকল, তা বুঝে ওঠা দুষ্কর। তবে, এ ক্ষেত্রে সুনাম নষ্ট, জরিমানা এড়ানো ছাড়াও ক্রেতা হারানোর ভয়ে ভেজাল পণ্য বিক্রির বিষয়ে সতর্ক থাকে প্রতিষ্ঠানগুলো।
কোনো উদ্যোক্তা সুপারশপ ব্যবসায় আগ্রহী হলে শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের ঋণ সহায়তাসহ বিভিন্ন সহযোগিতার কথা জানান শেরপুরের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, ‘ক্রেতা আকৃষ্ট করার জন্যে সব ধরনের আইটেম এখানে পাওয়া যায়, নিত্য প্রয়োজনীয় যা কিছু রয়েছে সব আইটেম এখানে পাওয়া যায়। নতুন যারা উদ্যোক্তা হতে চায় তাদের জন্য আমরা সকল সাহায্য করব।’
আধুনিক ব্যবসার জগতে এক নব সংস্করণ হলো সুপার শপ ব্যবসা। আধুনিকতার সকল সংযোজন থাকায় বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে সুপার শপ গুলো। এছাড়া ভালো মন্দ যাচাই করে পণ্য ক্রয়ের এটি একটি প্রসিদ্ধ স্থান।