তিন বছর পর জ্যামাইকায় টেস্ট। দেড় বছর পর উইন্ডিজের সামনে টেস্ট সিরিজ জয়ের হাতছানি। সবশেষ যেবার ক্যারিবিয়ানরা টেস্ট সিরিজে জয় পেয়েছিল সেবারও প্রতিপক্ষ ছিল এই বাংলাদেশ।
উইন্ডিজদের সামনে যখন সুখস্মৃতির হাতছানি তখন অভাগা টাইগারদের তাড়া করছে দু:স্বপ্ন। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার পর এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ, টানা তিন টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের লজ্জার সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।
উত্তরণের উপায় জানা আছে কি বাংলাদেশের? আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় না। মাঠের ক্রিকেটে ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে খাপছাড়া গোটা দল। বিশেষ করে ব্যাটিং। প্রতি ম্যাচেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে ব্যাটিং অর্ডার। অভিজ্ঞ মুমিনুল-লিটনদের পাশাপাশি নবাগত জয়-দিপু, প্রতিপক্ষের বোলিং অ্যাটাক সামলানোর সক্ষমতাই যেন নেই কারো! দ্বিতীয় টেস্টের দলে তাই ব্যাটিং লাইনআপে পরিবর্তন আসতে পারে। প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই ওপেনিংয়ে ব্যর্থতার পর জয়-জাকিরের পরিবর্তে একাদশে দেখা যেতে পারে সাদমান ইসলামকে।
বোলিং অ্যাটাক তাদের কাজটা ঠিকঠাক করলেও, পরিবর্তন আসতে পারে এখানেও। আগের টেস্টে একাই ৮ উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। হাসান মাহমুদ-শরিফুলরাও জায়গায় বল ফেলেছেন ধারাবাহিকভাবে। তবে ভ্যারিয়েশন আনতে এ ম্যাচে দেখা যেতে পারে গতিতারকা নাহিদ রানাকে।
ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও মনোযোগ দিতে হবে বাংলাদেশ দলকে। অন্য দুই বিভাগের মত ফিল্ডিংটাও যেন ভুলে গেছেন মুমিনুলরা। যার খেসারত দিতে হয় মোটা দাগে। অভিজাত সংস্করণে জয় পেতে সব বিভাগে চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে টাইগারদেরকে।
তবে সবমিলিয়ে ভুগতে থাকা বাংলাদেশের সহায়তায় এগিয়ে আসতে পারে প্রকৃতি। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, জ্যামাইকায় পাঁচদিনই বৃষ্টির সমূহ সম্ভাবনা আছে।