কখনো আড্ডার সঙ্গী, কখনো ক্লান্ত অবসরের সতেজতায় অনেকেরই ভরসা ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চায়ে। এমনই একজন দুবাইয়ে থাকা ৭৯ বছর বয়সী প্রবাসী বাংলাদেশি সুবিমল পাল। দেশ-বিদেশ ভ্রমণে, বাহারি তৃপ্তির চায়ের খোঁজ নিতে নিতেই কাটিয়েছেন পুরো জীবন।
প্রবাস জীবনে চায়ের গল্প বলছেন বাংলাদেশি সুবিমল পাল
প্রবাসী বাংলাদেশি সুবিমল পাল বলেন, ‘প্যারিসে একবার দিয়েছিলাম ওখানেও অনেক খুঁজতে খুঁজতে আমার পছন্দের চা পেয়েছিলাম।’
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও চায়ের কদর দিন দিন বাড়ছে। নানান উপকরণের মিশেলে অনেকে দিচ্ছেন চায়ের বাহারি নামও। এই তালিকায় রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশের মশলাযুক্ত কারাক চা। মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশে থাকা চা-প্রেমিদের শীর্ষে রয়েছে বিশেষ এই চা। অনেক প্রবাসী বাংলাদেশির কর্মসংস্থানও হয়েছে এসব দোকানে।
দুবাই ছাড়াও অন্যান্য শহরে গড়ে উঠেছে শত শত চায়ের দোকান। লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। নানান পদের চায়ের সমাহারই চা খাতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে বলে মনে করা হয়।
দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট, কর্মাশিয়াল কাউন্সিলর আশীষ কুমার সরকার বলেন, ‘ দৈনিক ৩ থেকে ৫ হাজার দিরহামের চায় বিক্রি হচ্ছে। কেন বিক্রি হচ্ছে এটার অন্যতম কারণ এসব দোকানের আশপাশ দিয়ে যারা যাতায়াত করে থাকেন তারাই মূলত চায়ের ক্রেতা।’
এদিকে প্রবাসের মাটিতে কারাক চাসহ বাহারি চায়ের স্বাদ নিলেও দেশের চায়ের তৃপ্তি ভোলেননি প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা বন্ধুদের সাথে আড্ডায়ও উপলক্ষ্য হচ্ছে চা। কারণ আমিরাতে যেসব চা পাওয়া যায়, তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিশ্বে ১২তম চা উৎপাদনকারী দেশ বাংলাদেশও।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য বলছে, গেল বছরের তুলনায় এ বছরের শেষ ১০ মাসে চা খাতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১০ লাখ ডলার। এমনকি শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেই গত দশ মাসে চা খাতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় প্রায় ১৫ লাখ ৯৩ হাজার ডলার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের দশ মাসে শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেই রপ্তানি আয় বেড়েছে এক লাখ ৮৩ হাজার ডলারের বেশি।