দীর্ঘ দেড় যুগ পর চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির জেলা সম্মেলন। গণঅভ্যুত্থানের পর জেলা হিসেবে ১ম বার। দীর্ঘদিন পর এমন আয়োজনে মাঠের নেতাকর্মীরাও উচ্ছ্বসিত।
শনিবার সকাল থেকে আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগরের বিএনপি নেতাকর্মীদের মিছিল সদর মুখী। বেলা বাড়ার সাথে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে টাউন ফুটবল মাঠ।
দুপুর থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিটি অপকর্মের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের ক্ষমা করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘যে অপরাধ গত ১৬ বছর ধরে করেছে, হামলা, মামলা, গুম ও রক্ত ঝরিয়েছে তার প্রত্যেকটা ঘটনা আমরা বুঝে নিতে চাই। তার আগে মাফ করার কোনো সুযোগ নেই।’
এদিন, চুয়াডাঙ্গায় আন্দোলনে নিহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য নির্বাচন প্রয়োজন। তরুণদের হাতে আগামীর নেতৃত্ব দেয়ারও অঙ্গীকারও করেন। বলেন ছাত্রদের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তরুণদের সঙ্গে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। ছাত্রদের সঙ্গে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা শুধু বলি দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে সঠিক জায়গাটা চিনে নিতে হবে। কারণ এখন চতুর্দিক থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
এসময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের কথা কম বলে, নিজেদের যোগ্য করে গড়ার তাগিদ দেন। বলেন, যোগ্য না হলে মানুষ ক্ষমতা দিতে দুইবার ভাববে।
তারেক রহমান বলেন, তাদের সেই প্রত্যাশা আপনাকে পূরণ করতে হবে। এ দায়িত্বশীল ভূমিকা আপনাকে পালন করতে হবে। যদি এ দায়িত্বশীলতার ভূমিকা আপনারাে একজন নয় সকলে পালন করতে সক্ষম হন তাহলেই বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের হাতে দায়িত্ব দিবে। তা না হলে তারা দায়িত্ব দেয়ার আগে দুইবার চিন্তা করবে।’
তারেক রহমান এসময় নির্বাচনের বিকল্প কিছু নেই আবারো উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সকল সংস্কারের বাস্তবায়ন একমাত্র সম্ভব, সূচনাও একমাত্র সম্ভব শুধু যদি প্রকৃত নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। সেজন্যই আমরা বলছি, রাজনৈতিক দলগুলো বলছে কেন দেশের নির্বাচন প্রয়োজন। দেশের নির্বাচন যত দেরি হবে প্রিয় সহকর্মী, ভাই-বোনেরা এটি হচ্ছে বাস্তবতা তত ষড়যন্ত্র বৃদ্ধি পাবে।’