পৃথিবীতে এলিয়েন বা আন আইডেন্টিফাইড ফ্লায়িং অবজেক্টের (ইউএফও) উপস্থিতি নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে। যদিও এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি যা প্রমাণ করে পৃথিবীর বাইরে এলিয়েনের কোনো অস্তিত্বের উপস্থিতি।
তবে এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাত্রীবাহী একটি বিমান আকাশে থাকা ইউএফও বা ভিনগ্রহী যানের মুখোমুখি হয়ে পড়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের এমন নতুন দাবি এলিয়েনের থাকা নিয়ে জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছে। তবে কোন বিমানের সঙ্গে এমনটা ঘটেছে, কবে ঘটেছে, এসব তথ্য গোপন রেখেছে পেন্টাগন।
ইউএফও নিয়ে পেন্টাগন প্রকাশিত তথ্য বলছে, এযাবৎকাল ভিনগ্রহী যান দেখতে পাওয়ার মোট সাড়ে ১৬শ'র বেশি প্রতিবেদন জমা পড়েছে তাদের কাছে। এর মধ্যে ২০২১ সালে থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্তই রয়েছে ৭৫৭টি ঘটনা। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি - ৪৮৫টি ভিনগ্রহী যান দেখতে পাওয়ার দাবি করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ১৮টিই যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু পরিকাঠামো, অস্ত্রভাণ্ডার এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের কাছাকাছি ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে, যাতে রীতিমতো হৈ চৈ পড়েছে।
এলিয়েন বা ইউএফও দেখার শত শত দাবি সামনে এলেও, উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত হয়েই আছে। এ অবস্থায় অজ্ঞাত উড়ন্ত যান সংক্রান্ত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের অধীনে থাকা অল-ডোমেন অ্যানোমালি রেজোল্যুশন অফিস (এএআরও)। এর মধ্যে মার্কিন নিরাপত্তা অবকাঠামোগুলোর কাছাকাছি অজানা বস্তুর উপস্থিতির বিষয়গুলো গুরুত্ব নিয়ে দেখছেন বিজ্ঞানীরা।
আপাতত ৪৪৪টি ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে এএআরও। এর মধ্যে বেলুন, পাখি বা ড্রোন সংক্রান্ত অস্তিত্বের প্রমাণে ৫০টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এছাড়া ২৪৩টি ঘটনা চূড়ান্ত পর্যালোচনার অপেক্ষায় রয়েছে। যুক্তিসংগত তথ্য-উপাত্ত ও বিশ্লেষণের অভাবে আরও ২১টি এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় ঝুলছে। এখন পর্যন্ত যতগুলো দাবি নিয়ে তদন্ত হয়েছে, তার মধ্যে কোনোটিতেই ভিনগ্রহী প্রাণ, যান কিংবা কোনো প্রযুক্তির আনাগোনা নিয়ে উপযুক্ত প্রমাণ মেলেনি বলেও দাবি সংস্থাটির।