দেশে এখন
0

সিনেপ্লেক্স যুগে প্রবেশ করলো মণিহার

সিনেপ্লেক্স যুগে প্রবেশ করলো দেশের সবচেয়ে বড় যশোরের মণিহার সিনেমা হল। সকালে সিনেপ্লেক্সটি উদ্বোধন করা হয়। কর্তৃপক্ষ বলছে, আধুনিক প্রযুক্তির সিলভার স্ক্রিনে ডলবি সারাউন্ড সাউন্ড সিস্টেমে সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা।

চার দশকেরও বেশি সময় আগে যাত্রা শুরু করে যশোরের মণিহার সিনেমা হল। সেসময় দক্ষিণ এশিয়ার সেরা সিনেমা হলের তকমা পেলেও সময়ের সাথে সাথে দর্শক শূন্যতায় অস্তিত্ব সংকটে পড়ে এই প্রেক্ষাগৃহ। এ অবস্থায় ফের ঘুরে দাঁড়াতে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে পুরো সিনেমা হল। আধুনিক সকল সুবিধা সম্বলিত মণিহার সিনেপ্লেক্স চালু হওয়ায় খুশি দর্শকরা।

১৪ শতাধিক আসনের মণিহারের মূল অবকাঠামো ঠিক রেখে দ্বিতীয় তলায় এক কর্ণারে নির্মাণ করা হয়েছে সিনেপ্লেক্সটি। দর্শকদের সুবিধায় থাকবে অনলাইন টিকিট ব্যবস্থাপনা। আধুনিক প্রযুক্তির সিলভার স্ক্রিনে ডলবি সাউন্ড সিস্টেমে সিনেমা দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকরা।

যশোরের মণিহার সিনেমা হলের স্বত্বাধিকার জিয়াউল ইসলাম মিঠু বলেন,‘ আগামীতে আমাদের মনিহার সিনেমা হলকে আরো উন্নত করে দুইভাগে ভাগ করে আরো সিনেপ্লেক্স তৈরি করার ইচ্ছে রয়েছে।’

এস ইসলাম অ্যান্ড সন্স লিমিটেডের পরিচালক নেহাল নাদির বলেন, ‘আমরা অনেক দিন যাবত বাংলা সিনেমা চালাচ্ছি তবে আমাদের এখন মূল ইচ্ছে হচ্ছে দর্শকদের আধুনিক ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম এবং ভালো কোয়ালিটির ছবি দেখা সুযোগ করে দেয়া।’

দর্শকের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় যশোরের ২৯টি সিনেমা হলের মধ্যে ২৩টিই বন্ধ হয়েছে। এ অবস্থায় সিনেপ্লেক্সটি আরও আধুনিকায়নে সহযোগিতার আশ্বাস জেলা তথ্য কর্মকর্তার।

যশোরের জেলা তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতিটি জেলায় একটি আধুনিক সিনেমা হল চালু ও নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ছিল। এ সুযোগ চাইলে সিনেমা হলের মালিক বা ম্যানেজার নিতে পারে।’

১৯৮৩ সালে ৪ বিঘা জমির উপর দৃষ্টিনন্দন মণিহার প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ করেন প্রয়াত ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম। সেসময় ১৪৩০ আসন নিয়ে যাত্রা শুরু করে এই প্রেক্ষাগৃহ। আধুনিকায়নের কারণে সিনেপ্লেক্সটিতে দর্শকের ভিড় বাড়বে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

এএম