কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠার পর যে প্রত্যাশা ছিল সেটি এখনও অধরাই রয়ে গেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের। ছোট এই ক্যাম্পাসটির সবচেয়ে বড় সংকট আবাসন নিয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে কেরানীগঞ্জে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দুর্নীতি আর দলীয় লেজুড়বৃত্তির কারণে থমকে আছে এর কার্যক্রম।
এ অবস্থায় ক্যাম্পাস নির্মাণের কার্যক্রম সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের দাবি তুলেছে শিক্ষার্থীরা। একইসাথে ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে অন্তর্ভুক্তির দাবিও তাদের।
৫ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসলেও সোমবার সচিবালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে হাজার খানেক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে হল নির্মাণ করা। আবাসনের যে সমস্যা আছে সেটা সমাধান করা।’
আরেকজন বলেন, ‘আমাদের কাঙ্ক্ষিত দাবি যতখন আদায় না হচ্ছে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।’
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে যখন সচিবালয়ের মূল ফটকের সামনের সড়ক বন্ধ হয়ে যায় তখন তথ্য উপদেষ্টা মৌখিকভাবে আশ্বাস দেন সমস্যা সমাধানের।
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আজকের মধ্যে ইউজিসির সাথে ঠিকাদারের বিষয় নিয়ে কথা বলবো। দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনাদের দাবি পূরণ করে দিবো।’
মৌখিক আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে আবারো বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে লিখিত বিবৃতির জন্য সচিবালয়ে প্রবেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল। জানান মঙ্গলবার আসবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘২০১৮ সাল থেকে আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ চলছে। শিক্ষার্থীদের অবস্থান আজ তারা দ্রুত ক্যাম্পাসের কাজ শেষ করার জন্য আন্দোলনে এসেছে।শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আগামীকালই বৈঠক হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর কাছে ক্যাম্পাস নির্মাণের দায়িত্ব হস্তান্তরে কাজ করছেন তারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে থেমে থাকা কাজগুলো আবার চালু করা সম্ভব হয়। এই কাজে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ততার করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চলমান। তদন্ত করে যদি কোনো ত্রুটি পাওয়া যায় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’
দাবি আদায়ে বিলম্ব হলে প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।