দেশে এখন
0

১৭ নভেম্বর-১০ মার্চ পর্যন্ত চলবে ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম

কেজিতে তিন টাকা করে বাড়িয়ে নয় লাখ টন আমন ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এবার ৩৩ টাকা দরে সাড়ে তিন লাখ টন ধান, ৪৭ টাকা দরে সাড়ে পাঁচ লাখ টন সিদ্ধ এবং ৪৬ টাকা দরে এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে। আজ (বুধবার, ৬ নভেম্বর) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়। আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত এ সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে বলে জানান খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব।

অতিবৃষ্টি কিংবা অনাবৃষ্টি, যেকোনো দুর্যোগেই দেশে চাল থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে চাল, ডাল, নুন থেকে তেল, সবকিছুই যেন চলে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। চালের দামও বেড়ে যায় দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত।

দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের মধ্যে কৃষকের কাছ থেকে ধান-চাল ও গম সংগ্রহ অন্যতম। যদিও এক্ষেত্রে বরাবরই ব্যর্থ সরকার। বাজারের চেয়ে কম দাম পাওয়ায় সরকারি গুদামে ধান বিক্রির অনীহায় গেল আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি বিগত আওয়ামী সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে চলতি আমন মৌসুমের দানাদার খাদ্য সংগ্রহে বৈঠকে বসে খাদ্য পরিকল্পনা কমিটি। সভায় নির্ধারণ হয় ধান, চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও দাম। এবার ৩৩ টাকা দরে সাড়ে তিন লাখ টন ধান, ৪৭ টাকা দরে সাড়ে পাঁচ লাখ টন সিদ্ধ আর ৪৬ টাকা দরে এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহ করবে সরকার। আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান ও সিদ্ধ চাল আর ১০ মার্চ পর্যন্ত চলবে আতপ চাল সংগ্রহ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, 'আমন সংগ্রহের মৌসুমে আমরা শুরু করবো এটা ১০ নভেম্বর থেকে, শেষ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। এটা ধান ও চালের জন্য। আর আতপ চালের ক্ষেত্রে ১৭ নভেম্বর থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত। চালের মূল্য ৩৩ টাকা প্রতিকেজি আর সিদ্ধ চালের ক্ষেত্রে দিয়েছি ৪৭ টাকা প্রতিকেজি। আর আতপ চালের ক্ষেত্রে ৪৬ টাকা প্রতিকেজি।'

ধানের দাম গেল বারের চেয়ে দুই থেকে তিন টাকা বেড়ে যাওয়ায় চাল সংগ্রহের দামও এবার বেশি ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে বাজারে এর প্রভাব যাতে না পড়ে সে জন্য চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাঁচ লাখ টন চাল আমদানি করা হবে, এর মধ্যে তিন লাখ টন সরকারিভাবে আর দুই লাখ টন বেসরকারিভাবে।

মো. মাসুদুল হাসান বলেন, 'গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরকারের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত পেয়েছি যে পাঁচ লাখ মেট্রিকটন চাল আমরা আমদানি করবো। তার মধ্যে তিন লাখ মেট্রিকটন জিটুজি পদ্ধতিতে, দুই লাখ মেট্রিকটন ওপেন টেন্ডার পদ্ধতিতে।'

অর্থ উপদেষ্টা জানান, রমজান উপলক্ষ্যে ছোলা, খেজুর, তেলসহ নিত্যপণ্য আমদানির সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যা প্রয়োজন তার থেকে বেশি আমদানির কথা জানান তিনি। এছাড়া রমজানের আগেই বাজার মনিটরিং বাড়ানো হবে।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'খাদ্যদ্রব্যে আমরা কী অবস্থা এখন , আমাদের খাদ্যদ্রব্যের মজুদ এবং ভবিষ্যতে কী কী মজুদ রাখতে হবে এবং কী কী জিনিস আমদানি করতে হবে সরকারি পর্যায়ে এবং বেসরকারি পর্যায়ে। রোজার আগেই তো আজতকে চিনি আমদানি করার কথা হলো। কিছুদিন পর ছোলা, ডাল আবার খেজুর আসবে। সুষম খাদ্যের কথা আমি স্পষ্টভাবে বলেছি সুলভ মূল্যে যেন পায়।'

এছাড়া চালের বাজারে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উপর জোর দিচ্ছে বর্তমান সরকার।

এসএস