দেশে এখন
0

বগুড়ায় ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত অধিকাংশ ঘর বাসের অযোগ্য

বগুড়ায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত উপহারের অধিকাংশ ঘরই এখন বসবাসের অযোগ্য। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, ভীত মজবুত না করায় প্রাচীর ও মেঝেতে ফাটল ধরেছে। ঘর নির্মাণের সময় এসব অনিয়মের চিত্র গণমাধ্যমে উঠে এলেও গুরুত্ব দেননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সাতবেকী আশ্রয়ণ প্রকল্প। ২০২১ সালে ৬১টি ঘর নির্মিত হয়। তবে এসব ঘর নিয়ে স্থানীয়দের রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। নিম্নমানের রসদ ব্যবহার করায় নষ্ট হয়ে গেছে বেশিরভাগ ঘর। অনেক ঘরের প্রাচীর ও মেঝেতে দেখা দিয়েছে ফাটল।

স্থানীয়রা জানান, এখানে বসবাস করছে ১২ থেকে ১৪টি পরিবার। এর মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া অনেকেই ঘরে উঠেনি। যা বসবাসের অনুপযোগী বলে অভিযোগ তাদের।

এদিকে সাতবেকী গ্রামের আরেক আশ্রয়ণের ৪০টি ঘরের মধ্যে ১৩টি ঘরে শুরু থেকেই ওঠেনি কেউ। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক বিবেচনায় এসব ঘর বরাদ্দ দিয়েছে।

সচেতন নাগরিকরা বলছেন, এসব ঘর নির্মাণের শুরু থেকেই অনিয়মের কথা স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়। তবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তাদের।

বগুড়ার সুজন জেলা কমিটির হুমায়ন কবির তুহিন বলেন, ‘আজ অসহায় মানুষদের বিপদে ফেলে দেয়া হয়েছে। তারা না পারছে সেসব ঘরে বাস করতে, না পারছে নিজেরা সেগুলো মেরামত করে থাকতে।’

বগুড়ার স্থানীয় সাংবাদিক মমিনুর রশিদ শাহীন বলেন, ‘রাষ্ট্রের এখন দ্বায়িত যারা এসব প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে এ সমস্যার একটি সুরাহা করা।’

নতুন কর্মস্থলে যোগদান করায় এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না; বলছেন সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামানিক। তবে অনিয়ম থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস। বলেন, ‘একটি কমিটি গঠন করে ওই ঘরগুলো কারা থাকেন ও কারা থাকেন না, এরইসঙ্গে পরবর্তী কি-কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।’

বগুড়ায় প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ ধাপে ৫ হাজার ৭০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। তবে প্রায় সব আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘরের একই অবস্থা। এসব ঘর নির্মাণে খরচ হয় প্রায় ৯০ কোটি টাকা।

এএম