চলতি করবর্ষে রিটার্ন দাতার সংখ্যা বাড়াতে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং ব্যাংক-বিমাসহ বেশকিছু শিল্প ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনলাইন রিটার্ন বাধ্যতামূলক করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
রাজস্ব বোর্ড বলছে, রিটার্ন নিতে শতভাগ প্রস্তুত আছে সার্ভার। এরপরেও যদি কেউ আয়কর মেলায় রিটার্ন দিতে আসেন, তবে তাকে তথ্য সহায়তা দেয়া হবে।
এদিকে ই-রিটার্ন দিতে গিয়ে জটিলতায় পড়ে আবার মেলায় ফিরছেন কেউ কেউ। এর মধ্যে কেউ রিটার্ন ফর্ম পুরোপুরি পূরণ না করেই ভুলে সাবমিট করছেন। এডিট অপশন না থাকায় পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। এজন্য অনলাইন রিটার্ন আরও সহজ করা ও অফলাইন রিটার্নের জন্য আরও কিছুদিন সময় চান করদাতারা।
কজন করদাতা বলেন, 'আপনি হঠাৎ করে বলেছেন অনলাইনে দেন। কয়টা কম্পিউটার অপারেটর এটা অনলাইনে সাবমিট করতে জানে? চ্যালেঞ্জ, তারা নিজেরাও পারবে না। তারা নিজেরা পারছে কি না? আমি এটা জানতে চাই।'
অন্য একজন করদাতা বলেন, 'আমি অনলাইনে দিতে গেছি, সেখানে কিছু হয়েছে ভুলে সাবমিট দিয়ে ফেলেছি। এখন আর পরিবর্তন করতে পারছি না। আমার নেটা সম্পদ, এফডিআর থাকতে পারে, আমার জায়গা-জমি থাকতে পারে সেগুলোর কিছুই আসেনি। সব জিরো হয়েছে, এখন আমি সংশোধনও করতে পারছি না। সেই সুযোগ তো আমাকে দিতে হবে।'
কর বিভাগের মাঠকর্মীরা বলছেন, শুধু টিন আইডি ও রিটার্ন ইউজার খুলে দেয়া, ই চালানসহ প্রাথমিক দুই একটা সেবা ব্যতীত করদাতার অন্য কোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারছেন না তারা।
একজন কর গ্রহীতা বলেন, 'যাদের অনলাইনে কর রিটার্ন করতে হবে বাধ্যতামূলক, তারা রেজিস্ট্রেশন করতে আসে। ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড নেয়ার জন্য। কেউ আসে নতুন ই-টিন করার জন্য, তাদের করে দিচ্ছি। আবার অনেকে ই-পেমেন্ট বা ই-চালান করার জন্য আসে তাদেরও কাজ করে দিচ্ছি।'
তবে এনবিআর বলছে, অনলাইনে দেয়া হটলাইনের নাম্বারে ফোন করে তাৎক্ষণিক সমাধান জানতে পারবেন করদাতারা।
সবশেষ ২০২৩-২৪ করবর্ষে ৩৭ লাখ রিটার্নের মধ্যে অনলাইনে জমা পড়ে সাড়ে পাঁচ লাখ। এবার নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জমা পড়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার।