আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান তিনি।
এদিকে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অফিস খোলার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, বিষয়টা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, এটিই প্রকৃত অবস্থান। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অফিস দেওয়া হবে বা অফিস দেওয়া হবে না-এটাও বলা হয়নি। আমরা বিষয়টা এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘মানবাধিকারের অফিস দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, না দিলেই হবে না-এটা মনে করার কোনো কারণ নাই। খুব অল্প কিছু দেশেই তাদের অফিস আছে। আমরা দেখছি যে, আমাদের প্রয়োজন আছে কি না।’
জুলাই-আগস্টের ঘটনায় জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের অগ্রগতির বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ’তারা প্রতিবেদন তৈরি করছেন। প্রতিবেদন দিতে আরো এক মাসের মতো সময় লাগবে।’
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অফিস খোলা ও জুলাই-আগস্টের ঘটনায় জাতিসংঘের অন্যান্য টিমের যে কাজ, তা সম্পর্কযুক্ত কিনা এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি এ দুটাকে খুব রিলেটেড মনে করি না। আমরা একটা সুনির্দিষ্ট কাজে তাদেরকে আসার জন্য আমন্ত্রণ করেছি। সার্বিকভাবে আমরা জানি যে, মানবাধিকার নিয়ে সমস্যা ছিলই। আমরা সে সমস্যার সমাধান চাই। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো মানবাধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয়। আমি তাদেরকে একথা বলেছি যে, আপনাদের লক্ষ্য এবং আমাদের লক্ষ্য আসলে একই। আমরা কীভাবে কাজ করবো, পরস্পরকে সহায়তা করব-সেটা আমাদের দেখতে হবে।’