অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে তিনটি প্যানেল ও একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অঞ্চলের ডিজিটাল অধিকার সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ ও উন্নয়নের ওপর ফোকাস করা হয়।
প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন এশিয়া সেন্টারের সহযোগী তুষার নবী খান। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ আগের সরকারের অন্যান্য কৌশলগত ব্যর্থতা তুলে ধরেন। তুষার নবী খান সংবিধানের ৫৭ ধারা, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইন সম্পর্কে আলোচনা করেন। এই আইনগুলো কীভাবে সাংবাদিকদের জন্য নিপীড়নের হাতিয়ার এবং বাক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ তৈরি করেছিল তা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ড. জেমস গোমেজ, এশিয়া সেন্টারের আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর অ্যান্ড্রু হার্ডিং এবং ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের আইন বিভাগের প্রধান প্রফেসর অ্যানে ভারগিস। এছাড়া গুগলের প্রতিনিধিরাও এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এরই সঙ্গে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, কম্বোডিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, ফিলিপাইনস, জাপান, চীন এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে স্টেকহোল্ডাররা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
এই ডিজিটাল অধিকার কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল ১২ মাসের মধ্যে সিএসওগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো। এতে তারা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ডিজিটাল অধিকারকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি আইনগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকরীভাবে সাড়া দিতে পারবে। এই উদ্যোগটি ২০২৩ সালে ১৯ ডিসেম্বর থেকে একটি অনলাইন কিক-অফ তথ্য সেশনের মাধ্যমে শুরু হয়। —প্রেস বিজ্ঞপ্তি