গেল ৫৩ বছরে দেশের সংবিধানে কাটাছেঁড়া করা হয়েছে ১৭ বার। ১১টি সংসদের মধ্যে সপ্তম সংসদ বাদে প্রতিটি সংসদেই সংবিধান সংশোধন হয়েছে।
সংসদীয় ব্যবস্থা পাল্টে দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা যেমন প্রবর্তন করা হয়েছিল, অন্যদিকে দু'বার সামরিক শাসনকে বৈধতা দেয়া হয়েছিল সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে। তবে কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকারের গেল ১৫ বছরে তিনটি সংশোধনী নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে সবচেয়ে বেশি।
গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে 'রাষ্ট্র সংস্কারের' যে দাবি উঠেছে সেখানে আলোচনার শীর্ষে সংবিধান সংস্কার। তবে সংস্কার নাকি পুনর্লিখন তা নিয়ে রয়েছে মতানৈক্য। এ নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে বর্তমানে যে ধরণের প্রশ্ন তোলা হচ্ছে এ ধরণের বিতর্ক সরকারের গতিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো সরাসরি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কিংবা সরাসরি সংবিধানের বিধি বিধানের সাথে সংশ্লিষ্ট এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া পরিহার করে একটি সুচিন্তিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে ভবিষ্যতে যেকোনো জটিল প্রশ্ন বা পরিস্থিতি মোকাবেলাও সহজ হবে।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর লেডিস ক্লাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হলে নিরাপদ নয় কেউ।
তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই মিলে মাফিয়া সরকারের পতন ঘটানোর পরে এবার আমরা সবাই চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌছানোর যাত্রাপথে রয়েছি। যাত্রাপথে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে মতভিন্নতা পরিলক্ষিত হলেও আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কিন্তু এক এবং অভিন্ন। সেটি হলো একটি বৈষম্যহীন, মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা।’
একই অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সবসময় প্রস্তুত রয়েছে ছাত্র জনতা।