সাধারণ মানুষের ইন্টারনেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্বরূপ যা সাধারণ জীবনযাপন, চিকিৎসা সেবা থেকে শুরু করে প্রতিটি পেশাগত ক্ষেত্রে, জীবন-জীবিকা বিশেষত গ্লোবাল ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, ইত্যাদির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও জানান তারা।
সভায় উপস্থিত নারী উদ্যোক্তারা ইন্টারনেট শাটডাউনে তাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায় আর্থিক ক্ষতি, জীবন ও জীবিকায় এর কঠিন বাস্তবতার কথা তুলে ধরে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তারা বলেন, ইন্টারনেট শাটডাউন নিয়ে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব আছে যা আগামী দিনগুলোতে তাদের জন্য আরো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে, সরকারের আন্তরিকতা, সুষ্ঠু আইন প্রণয়ন এবং ইন্টারনেট শাটডাউনের সম্ভাব্যতা উদয় হলে আগে থেকে ঘোষণা দেয়ার মত উদ্যোগ নেয়া হলে, ব্যবসা ক্ষেত্রে অতীতে যে বিশাল ক্ষতি হয়েছে, তা অনেকাংশে কমে আসবে বলে তারা মনে করেন।
সভায় উপস্থিত বক্তাদের মধ্যে এংগেজ মিডিয়ার কনসালট্যান্ট রেজওয়ান ইসলাম বলেন, ‘ইন্টারনেট শাটডাউনে আর্থিক ক্ষতি নির্ণয়কারী ওয়েবসাইট - নেটব্লকের হিসাব অনুসারে, ইন্টারনেট শাটডাউনের ফলে বাংলাদেশ একদিনে ৭.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির মুখোমুখি হয়।’
তার আলোচনায় উঠে এসেছে কীভাবে বিভিন্ন বাস্তবিক ও বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ নিয়ে আগামীতে এই ক্ষতি মোকাবেলা করা সম্ভব।
এছাড়া, আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘যে-সকল ক্ষুদ্র এবং মধ্যম পরিসরের উদ্যোক্তারা অনলাইন বা ফেসবুকের ওপর নির্ভরশীল, গত জুলাই-অগাস্ট মাসের লাগাতার ইন্টারনেট শাটডাউনে, তারা অধিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন। সেই সাথে আউটসোর্সিং সেক্টরেও ধস নেমেছে।’
ভয়েসের উপ-পরিচালক, মুশাররাত মাহেরা, জাতীয় মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি বা গ্রস ডমেস্টিক প্রডাক্ট) বেসরকারি খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ের অনবদ্য ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, ‘দেশের সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, আমাদের সবাইকে এক যোগে ইন্টারনেট শাটডাউনের নেতিবাচক প্রভাব ঠেকাতে এগিয়ে আসতে হবে।’