রাজধানীবাসীর নিত্যদিনের আমিষের চাহিদা মেটানোর অন্যতম প্রধান উৎস ডিমের কারবার শুরু হয় মধ্যরাত থেকেই। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ডিমের প্রথম যাত্রা রাজধানীর তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে। এরপরই হাত বদলে ডিম ছড়িয়ে পরে নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে।
সম্প্রতি এই ডিমের বাজার নিয়েই শুরু হয় টানাপড়েন। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় বাড়তে শুরু করে ভোক্তাপর্যায়ে অস্বস্তি। বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে মূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি কোম্পানিগুলোকে সরাসরি বাজারে পর্যাপ্ত ডিম সরবরাহের নির্দেশনা দেয় সরকার।
কিন্তু এরপরেও বাজার বাস্তবতা যে খুব পরিবর্তিত হয়েছে তেমনটি নয়। আড়তদার থেকে পাইকারদের অভিযোগ ডিম সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে।
পাইকারি বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘ডিম আনতে হয়েছে আমার ১১শ’ টাকার বেশি করে। এখন বিক্রি করছি সরকারি রেট ১১ টাকা করে। আমার গাড়ি ভাড়া নেই?, স্টাফ বেতন নেই? এভাবে আমি কয়দিন চলবো? যেখান থেকে আমি কিনি সেখানে যদি অভিযান না দেই তাহলে ডিমের বাজার কমবে না কখনোই।’
আরেকজন বলেন, ‘কোম্পানি যদি ডিম কম দেই তাহলে আমি কাস্টমারকে কীভাবে দিবো? ডিম চেয়েছি ২৫ বান্ডিল দিয়েছে ১৫ বান্ডিল এভাবে কি দোকান চলবে?’
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন দাম নিয়ন্ত্রণে খুচরা কিংবা পাইকারি বাজার তদারকির চেয়ে ডিম উৎপাদন কোম্পানিগুলোর উপর নজরদারি বাড়াতে হবে।
তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া বলেন, ‘কোম্পানি আমাদের ডিম দিচ্ছে না। এভাবে আমাদের মিটিং আছে। মিটিংয়ে ডিম বাড়ানোর ব্যবস্থা করবো। কিছু কিছু কোম্পানি ডিম দিতে গড়িমসি করছে। ভোক্তা অধিদপ্তর বলছে তাদের সাথে বসবে।’
ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে এর সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি আমদানির পরামর্শ ব্যবসায়ীদের।