১৬ বছরের শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল রামপুরা-বাড্ডাবাসী। বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের ছাত্র ও স্থানীয় জনতা। শত প্রাণের বিনিময়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন থেকে মুক্ত হয় বাংলাদেশ।
গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা রাজধানীর অন্যতম শীর্ষ এই এলাকায় শুক্রবার সমাবেশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। বৃষ্টিস্নাত বিকেলে মেরুল বাড্ডার ডিআইটি খেলার মাঠে কথা বলেন আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় নাগরিকদের বক্তব্যে উঠে আসে আওয়ামী লীগ শাসনামলের দুঃসহ শোষণের চিত্র, আর আন্দোলনের ভয়াবহ স্মৃতি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের দোসরদের বিলোপ না করা পর্যন্ত এ অভ্যুত্থান সফল হবে না।
বাহাত্তরের সংবিধান চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন কমিটির মুখপাত্র। সদস্য সচিব বলেন, ডিমের দাম নিয়ে যারা কারসাজি করছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। স্থানীয় ও জাতীয় সমস্যা সমাধানে ছাত্র জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক।
সমাবেশে ছাত্রজনতার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশ পরিচালনার আহ্বান জানানো হয়।