ইন্টারনেট বন্ধ, বন্ধ স্কুলকলেজ। রাজপথের দখল নিয়েছে ছাত্র-জনতা। অসংখ্য তরুণের প্রাণের বিনিময়ে শেষ পর্যন্ত সফল হয় অভ্যুত্থান। কার্টুনে কার্টুনে ফুটে উঠেছে সদ্যগত হওয়া ইতিহাস।
জাতীয় দৈনিকের ১১ জন কার্টুনিস্টের কার্টুন নিয়ে স্বৈরাচারের ১৬ বছর শীর্ষক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় জাতীয় জাদুঘরে। তা দেখতেই ছুটির দিনে ভিড় জমিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
এক দর্শণার্থী জানান, মুগ্ধ ভাইয়ের পানি দেয়ার সময় গুলি করার ঘটনা আসলেই খুব কষ্টদায়ক।
আরেকজন জানান, অভ্যুত্থান পরবর্তী যে কর্মকান্ডগুলো চিত্র বা ছবির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। যারা আয়োজন করেছেন অবশ্যই প্রশংসনীয় একটি কাজ।
মধ্যবয়সী চাকরিজীবী আবুল হোসেন ঘুরে ঘুরে দেখছেন আর পছন্দের কার্টুনগুলো। ছবি তুলে নিচ্ছেন নিজের মুঠোফোনে।
তিনি বলেন, ‘শুধু একটা ছবির মাধ্যমে পুরো কাহিনী বলে দেয়া যায়। যে কারণে এ কার্টুন আমার বেশ পছন্দ।’
তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এসেছেন এখানে। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ইতিহাসে সাক্ষী শিক্ষার্থীরা বলছেন, এখানে এসে যেন জুলাইয়ে ফিরে গেছেন তারা।
চতুর্থ বারের মত এমন আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কার্টুনিস্ট ফোরাম। আয়োজকরা বলছেন, দর্শনার্থীদের ভালো সাড়া পেয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ কার্টুনিস্ট ফোরামের সভাপতি ইব্রাহিম মন্ডল বলেন, ‘আর কোনো শাসক এমন স্বৈরাচার জন্ম দেবে না বলে আমরা মনে করি। এসব চিন্তা থেকেই এ কার্টুনের আয়োজন।’
তিনি বলেন, প্রতিদিন এখানে প্রচুর দর্শক আসছেন, কার্টুন দেখছেন।’
২শ'র বেশি কার্টুন নিয়ে এই আয়োজন চলবে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত।