গুলিতে নিহত জেলের মরদেহসহ ১১ জেলেকে কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে মিয়ানমার। ট্রলারটি নিয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা ফিরেছেন শাহপরীর দ্বীপে। ধরে নিয়ে যাওয়া আরো ৫টি ট্রলার এখনো ছাড়েনি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (বুধবার, ৯ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দাদের কয়েকটি ট্রলারে গুলিবর্ষণ ও অপহরণের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বঙ্গোসাগরে মাছ ধরা নৌকা টার্গেট করে গুলি ছোড়ে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। এতে ঘটনাস্থলেই এক জেলে নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহন হন আরো তিনজন।
নিহত জেলের নাম মো. ওসমান। তিনি শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচু মিয়ার ছেলে। এ সময় পাঁচ ট্রলারসহ ৬০ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার নৌবাহিনী।
ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এই ঘটনা ঘটে।
ধরে নিয়ে যাওয়া চার ট্রলারের মালিকরা হলেন শাহপরীর দ্বীপের মৃত আলী হোছেনের ছেলে আবদুল্লাহ, মিস্ত্রীপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান, তার ভাই আতা উল্লাহ, উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেম। এ চারটি ট্রলারে ৬০ জন মাঝি মাল্লা ছিল।
সাইফুল নামের একজন ট্রলার মালিক জানান, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎই মিয়ানমার নৌবাহিনী জেলেদের ধাওয়া করে গুলিবর্ষণ করে। এরপর পাঁচটি ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের ধরে নিয়ে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। যেখানে তার মালিকাধীন ট্রলারে গুলিবিদ্ধ ৪ জনের মধ্যে একজন মারা যায়।