দেশে এখন
0

‘শিগগিরই বাতিল হবে সাইবার নিরাপত্তা আইন’

শিগগিরই বাতিল হবে সাইবার নিরাপত্তা আইন, এই আইনে যে মামলা হয়েছে সেগুলোও প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, 'সংশোধনীর মাধ্যমে যে আইন হবে সেটা যেন স্থায়িত্ব ও প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থাকে সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।' আজ (বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর) 'সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩' সংশোধন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

গত আগস্ট পর্যন্ত দেশের আটটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে মোট পাঁচ হাজার ৮১৮টি মামলা চলমান আছে। বর্তমানে স্পিচ অফেন্স সম্পর্কিত মোট এক হাজার ৩৪০টি মামলা আছে, যার মধ্যে ৪৬১টি মামলা তদন্তকারী সংস্থার নিকট তদন্তাধীন এবং ৮৭৯টি মামলা দেশের আটটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। কিন্তু এসব মামলা যে সাইবার নিরাপত্তা আইনে হয়েছে সেটি নিয়ে শুরু থেকেই নানা মহলে চলছে বিতর্ক, সমালোচনা। আইনটিকে মতপ্রকাশে বাধা দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম ফাঁদ বলছেন বিশ্লেষকরা।

এ অবস্থায় সাইবার নিরাপত্তা আইনি থাকবে নাকি বাতিল, থাকলেই বা সংশোধন হবে কীভাবে, এই নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ও অংশীজনদের সাথে অনুষ্ঠিত হয় মতবিনিময় সভা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামসহ ভুক্তভোগী, আইনজীবী, নাগরিক প্রতিনিধি ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

এসময়, সাইবার আইনের ভুক্তভোগীরা তুলে ধরেন নিপীড়নের গল্প। তেমনই একজন খাদিজা। এই আইনের মামলায় যার জীবন থেকে কেড়ে নিয়েছে ১৫টি মাস।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত আইন বিশেষজ্ঞ ও বক্তারা সাইবার আইনকে নিপীড়নমূলক আইন হিসবে তুলে ধরেন। কেউ কেউ সংশোধন আর কেউ কেউ বলেন এই আইন পুরোপুরি বাতিল করা হোক।

এ সময় তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, 'সংশোধনীর মাধ্যমে যে আইন হবে সেটা যেন স্থায়িত্ব ও প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থাকে সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং সংশোধনের এই সময়টায় আইনটিকে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়েও পরিকল্পনা হচ্ছে।'

আইন উপদেষ্টা বলেন, 'সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে। আইনের মধ্যে তুলে নেয়া হবে সকল নিবর্তন মূলক ধারা। নতুন আইন হবে সাইবার সুরক্ষা দিতে। এ আইনে যে মামলা হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।'

শুধু সাইবার নিরাপত্তা আইন নয়, দেশের সকল কালা কানুন অবিলম্বে বাতিল কিংবা সংশোধন করা হবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। ২০২৩ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম বদলে রাখা হয় সাইবার নিরাপত্তা আইন।

এসএস