আজ (বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর) সকালে হাইকোর্টের এক বিচারপতি রায় প্রত্যাহার করে নেন।
বিগত দুই বছর ধরে নিয়মিত আদালতে হাজির হতেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শ্রম আদালতের মামলায় ছয় মাসের দণ্ডও হয় তার। যদিও পরে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল সেই রায় বাতিল করে দেন।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কখনো শ্রম আদালত, কখনো জজ কোর্ট, কখনো হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলার বিচারকাজ চলছিলো। নিয়মিত আদালতে হাজিরও হতেন ড. ইউনূস। এসবের ধারাবাহিকতায় গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টের ৬৬৬ কোটি টাকা কর ফাঁকির মামলার রায় দেয় হাইকোর্ট।
গেলো ৪ আগস্ট ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টের কাছে এনবিআরের পাওনা ৬৬৬ কোটি টাকা পরিশোধ করতে রায় দেয়া হয়। যার আপিল শুনানি আপিল বিভাগে রয়েছে।
এমন অবস্থায় এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি লিখতে গিয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান বিব্রতবোধ করে রায় প্রত্যাহার করে নেন। এ কারণে রায়ের নথি পাঠানো হয়েছে প্রধান বিচারপতির কাছে।
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিচারপতি রায় প্রত্যাহার করার দাবি ড. ইউনূসের আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘নতুন করে শুনানি করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।’
ড. মোহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর শ্রম আদালতের মামলা, অর্থপাচারের মামলা প্রত্যাহার ও বাতিল করা হয়েছে। অন্যসব মামলার বিচারকাজও থেমে যায়।





