আজ (মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর) সকালে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার সাব-ইন্সপেক্টর আজিজুল হক ভুইয়া তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। এরপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত তাকে গ্রেফতার দেখানোর পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হাসান মাহমুদ সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত থেকে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৩১ জুলাই রাত দেড়টার দিকে উত্তরা মুগদাপাড়ার বাসা থেকে বের হন তিনি। এরপর আর বাসায় ফেরেননি।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারেন, সাদা পোশাকধারী অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন হাসান মাহমুদকে তুলে নিয়ে যায়। পরে জানতে পারেন গোড়ান ছাপড়া মসজিদের সামনে তার স্বামী পড়ে আছেন। ভোর ৫ টার দিকে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে ২৯ আগস্ট ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে শেখ হাসিনাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে হাসান মাহমুদের স্ত্রী ফাতেমা হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটিকে খিলগাঁও থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।