স্থানীয় সময় সোমবার তেহরানে একটি ধর্মীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। বলেন, ভারত, মিয়ানমার ও ফিলিস্তিনের গাজায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ খুব দুঃখ দুর্দশার মধ্যে আছেন। এ বিষয়ে এখনই সোচ্চার না হলে নিজেদের মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা লাগবে। এই নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করেন।
জবাবে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে নয়াদিল্লি জানায়, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার পক্ষ থেকে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য। ভারতের মুসলমানদের নিয়ে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছেন তিনি। অন্যদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে কথা বলার আগে ইরানের নিজেদের কর্মকাণ্ডের দিকে নজর দেয়া জরুরি বলে মন্তব্য করে ভারত।
গাজায় চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধ করে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। ইসরাইলের সঙ্গে বৈরি সম্পর্কের মধ্যে তেহরানের এমন মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছে নয়াদিল্লিকে। কারণ উভয় দেশের সঙ্গেই ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। পশ্চিম এশিয়ায় অপরিশোধিত তেলের বড় সরবরাহকারী তেহরান। আর ভারত থেকে অস্ত্রের বড় চালান যায় ইসরাইলে।
এদিকে, মুসলিম বিশ্বের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নেতিবাচক ধারণা পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজিশকিয়ান। মুসলমান ও ইসলামকে শত্রু না ভাবলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে সরাসরি আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
মাসুদ পেজিশকিয়ান বলেন, 'ইসরাইলের গণহত্যা কারও চোখে পড়ছে না। ইসরাইল সবার চোখের সামনে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। কেউ তাদের বাধা দিচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ তাদের ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা এবং অস্ত্র দিয়ে ইসরাইলকে সহায়তা করছে। তাদের নিয়ে পশ্চিমাদের মাথাব্যাথা নেই। ইসরাইলি বাহিনীও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছে।'
দেশটির ক্ষমতায় আসার প্রথমবার সংবাদ সম্মেলনে ইরানের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান। এসময় তিনি বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষায় তেহরান কখনোই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করবে না। এমনকি আন্তর্জাতিক চাপের কাছেও মাথা নত করবে না ইরান।
