অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের মৌসুমে ফরিদপুরে পাটের উৎপাদন হয়েছে কম। পাটের বাজার কানাইপুরে হাটের দিনেও চোখে পড়েনা বেচা কেনা। হাটের দিনেও দেখা যায় অল্প কিছু চাষি ভ্যান বা মাথায় করে নিয়ে আসছেন পাট।
খরার কারণে এবছর পাট গাছ বড় ও মোটা হতে পারেনি। যে কারণে পাটের আঁশ কম হওয়ায় ফলন অনেকটাই কমেছে। বেড়েছে চাষের উপকরণ বীজ, সার, তেল, ওষুধ আর শ্রমিকের মজুরি খরচ। কিন্তু বাজারে মিলছে না পাটের ন্যায্য মূল্য। কৃষকের অভিযোগ, বিভিন্ন বাজার ও আড়তে ভাল মানের এক মণ পাট ২৮শ' থেকে ৩২শ' টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যাতে লাভ তো দূরের কথা মুখ দেখতে হচ্ছে লোকসানের।
ছবি: কানাইপুরের পাটের বাজার
কম উৎপাদন এবং ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কমেছে পাটের ফলন, জানালেন কৃষকরা। পাটের পেছনে যা ব্যয় করছেন তাই ওঠাতে হিমশিম খাচ্ছেন চাষিরা।
পাট ক্রেতারা বলছেন, ভরা মৌসুমে বাজারে পাটের পরিমাণ অনেক কম। হাটের দিন যেখানে একজন ব্যবসায়ী পাঁচ থেকে সাত ট্রাক পাট ক্রয় করতো, সেখানে এখন দুই থেকে তিন ট্রাক পাট পাওয়া মুশকিল হচ্ছে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে কৃষকদের পাশেই থাকবেন তারা।
কীটনাশক সারসহ বিভিন্ন ধরনের সারের দাম সরকার কমিয়ে দিয়েছে। তবে মানুষ এখন কৃষি কাজের চেয়ে অন্যান্য কাজে ঝুঁকে পড়েছেন। তবে সরকার যে পাটের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তাতে কৃষকরা লাভবান হওয়ার কথা বলে জানান, ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: শাহাদুজ্জামান।
জেলার মাটি ও আবহাওয়া পাট চাষে উপযোগী হওয়ায় এ অঞ্চলে উন্নত মানের পাট উৎপাদন হয়ে থাকে।