
ফরিদপুরে পাট উৎপাদনে ব্যয় বৃদ্ধির শঙ্কায় চাষিরা
প্রতিবছরই দেশের সোনালি আঁশ খ্যাত পাটের আবাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়েই চলেছে। কিন্তু বাজারে এর দর কাঙ্ক্ষিত হারের বাড়ছেনা। পাট চাষাবাদে ব্যয়ের সাথে বিক্রয় মূল্যে ব্যবধান বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় চাষিরা। প্রতি মণ পাটের গত বছরের চাষি পর্যায়ে বিক্রয় মূল্য ছিল প্রকার ভেদে দই হাজার ৫০০ থেকেদই হাজার ৮০০ টাকায়, যার উৎপাদন ব্যয় আর বিক্রয় মূল্য সমান সমান। এই কারণেই পাট চাষিদের চোখে-মুখে হাসি ছিল না।

পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ সুইজারল্যান্ডে রপ্তানি করা হবে
প্লাস্টিকের বর্জ্যের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক দূষণ সৃষ্টি করে পলিথিন ব্যাগ। শুধু ঢাকা শহরেই মাসে প্রায় ৪১ কোটি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার হয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ১০ থেকে ১৩ শতাংশ দায়ি প্লাস্টিক বর্জ্য পোড়ানোর কারণে। অন্তর্বর্তী সরকারে দুই উপদেষ্টা জানান, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ শতভাগ বাস্তবায়ন ও দেশে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ সুইজারল্যান্ডে রপ্তানি করা সম্ভব। এরইমধ্যে ঘোষণা এসেছে, ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে কোনো ধরনের পলিথিন ক্রেতাদের দেয়া যাবে না।

ন্যায্য মূল্যে না পেয়ে লোকসান গুণছেন চাষিরা
পাটের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না ফরিদপুরের কৃষকরা। একদিকে সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় কমেছে উৎপাদন, অন্যদিকে খরচ বেড়েছে চাষের উপকরণের। এতে পাটের ন্যায্য মূল্যে না পেয়ে লোকসান গুণতে হচ্ছে স্থানীয় চাষিদের।

কুড়িগ্রামে অতিবৃষ্টি-বন্যায় ৫৭ কোটি টাকার পাট নষ্ট
সোনালি আঁশ পাট। কিন্তু অনেক স্বপ্ন নিয়ে বোনা সেই পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কুড়িগ্রামের চর, দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা। খরা, অতিবৃষ্টি আর বন্যায় নষ্ট হয়েছে হাজার হাজার হেক্টর খেতের পাট। যাতে অন্তত ৫৭ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে ২১ হাজারের বেশি কৃষকের। এরপরও হাটে স্থানীয় ফড়িয়াদের ইচ্ছে মতো দাম নির্ধারণ ক্ষতি বাড়াচ্ছে কৃষকদের।

বাওয়ানি জুট মিলে দিনে ১০ টনের বেশি সোনালী ব্যাগ উৎপাদন সম্ভব
অবশেষে বড় পরিসরে আলোর মুখ দেখছে পরিবেশবান্ধব সোনালি ব্যাগ। আগামী জুলাইয়ের পর এর বাণিজ্যিক উৎপাদনের আশা। সম্প্রতি সরকারের শত কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণায় গতি পেয়েছে ডেমরায় অবস্থিত কারখানাটি। এখানে দিনে ১০ টনের বেশি ব্যাগ উৎপাদন সম্ভব।