দেশে এখন
0

কারো যেনো সন্তানের লাশ কাঁধে নিতে না হয়: নিহত ফাইয়াজের বাবা

হত্যাকারীদের ফাঁসি চাইলেন শিক্ষার্থী ফারহান ফাইয়াজের মা। আর বাবা বললেন, পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ সবচে ভারি। কারো যেনো সন্তানের লাশ কাঁধে নিতে না হয়। অন্যদিকে ন্যায়বিচারের জন্য মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর।

গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেন ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী ফারহান ফাইয়াজ। ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে এক পর্যায়ে ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ।

সংঘর্ষে পুলিশের অস্ত্রে গুলিবিদ্ধ হন ১৭ বছরের ফাইয়াজ। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক ফাইয়াজকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন ফাইয়াজের মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এই হত্যা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকেও তরান্বিত করে।

আজ (মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর) ফাইয়াজের বাবা শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় হত্যা মামলার আবেদন করেন। মামলার অভিযোগপত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রিপরিষদের একাধিক সদস্য, পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৩৪ জনকে আসামি করা হয়।

পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের মামলা সম্পর্কে অবহিত করা হয়। সেখানে ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর বলেন, ‘ফাইয়াজের হত্যার বিচার করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মিডিয়ার কল্যাণে ফাইয়াজের মিষ্টি হাসির ছবি গোটা জাতি দেখেছে। পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করেছে এবং গুলি সরাসরি তার বুকে লেগেছে। বুকে গুলি লাগার পর সে পড়ে যায়। তার বন্ধুরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সম্ভবত সিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। তার রিপোর্টে লেখা ছিল হি ওয়াজ ব্রট ডেড টু দ্য হসপিটাল। তার মানে হচ্ছে হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল। এবং গান শটে তার মৃত্যু হয়েছে সেটা তার ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা আছে।’

নিহত ফাইয়াজের বাবা-মা হত্যাকারিদের ফাঁসির দাবি জানান। আর যাতে কেউ সন্তান হারা না হন সে কথাও উঠে আসে তাদের কণ্ঠে। জুলাই আগস্টের ছাত্র জনতার আন্দোলনে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১২টি মামলা হয়েছে। সবকটি মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এএইচ